কলাপাতায় ইফতার করে প্লাস্টিক বর্জনের আহবান অভয়ারণ্যের

প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ , মার্চ ২৯, ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ব্যতিক্রমী ইফতারের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’। বরাবরের মতো পরিবেশবান্ধব কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করে প্লাষ্টিক বর্জনের এক ব্যতিক্রমধর্মী নিদর্শন স্থাপন করেছে সংগঠনটি।

২৮শে মার্চ (মঙ্গলবার)৫ম রমজানে ক্যাফেটেরিয়ার ২য় তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ১০ টি সংগঠনকে সাথে নিয়ে “ওয়ানটাইম” প্লেট ও গ্লাসের পরিবর্তে কলা পাতা এবং কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করে তাদের ইফতার মাহফিল আয়োজন করে। এই ভিন্নধারার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা প্রত্নতত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ বাসার, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাফায়িত সিফাত, নব নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সিফাত এবং সাধারণ সম্পাদক কাতিব হাসান মুরাদ সহ সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।

এছাড়াও সংগঠনটির ডাকে সাড়া দিয়ে একাত্নতা প্রকাশ করতে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহিল মারুফ, থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোহন চক্রবর্তী, সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি আমান উল্লাহ, বিএনসিসির সিইউও হায়দার মাহমুদ, রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন সরকার, রোভার স্কাউটের সিনিয়র রোভারমেট মাহমুদুল ইসলাম, প্রতিবর্তনের সভাপতি মোহাম্মদ মাহফুজ রাব্বি, বৃত্ত কুবির সভাপতি আরাফাত রাফি, অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চার সভাপতি রফিক উদ্দীন, প্রথম আলো বন্ধুসভার প্রতিনিধি।

ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সিফাত বলেন,” আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশকে বাঁচানো।আমরা জানি প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর। প্রতিবছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিলে প্রচুর প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।যা বর্জ্য হিসেবে পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আমরা চাই এই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হোক। আর এই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এবং সবাইকে সচেতন করা এবং অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে প্লাষ্টিক বর্জনে উদ্বুদ্ধ করা আমাদের এই ইফতার মাহফিলের মূল লক্ষ্য।”

এ সময় উপস্থিত সংগঠনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন “বিজ্ঞানী হওয়ার চেয়ে বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ তৈরি করা যেমন বেশি প্রয়োজন। ঠিক তেমনি আমাদের পরিবেশবাদী হওয়ার থেকে আমাদের পরিবেশবান্ধব একটা মনটা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের প্রতিনিয়ত ভাবতে হবে আমাদের প্রতিটা কাজে যেন যথাসম্ভব কম পরিবেশ নষ্ট হয়।

তিনি আরো বলেন,আমাদের কাজে আমরা যত রিসাইকেলিং পণ্য বেশি ব্যবহার করব তত বেশি আমরা আশেপাশের পরিবেশকেও সুন্দর রাখতে পারব।”

উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই সংগঠনটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সকল অনুষ্ঠানে প্লাষ্টিকের পরিবর্তে কলাপাতা ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করে আসছে।

Loading