অবশেষে কপিলমুনির নাছিরপুর খালের উপর নির্মাণ হল কাঠের পুল, ভোগান্তির অবসান

মিলন দাশ মিলন দাশ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ১৪, ২০২২

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির তালতলায় নাছিরপুর খালের উপর অবশেষে কাঠে পুল নির্মিত হয়েছে। পুলটি নির্মাণে ৬ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে।

জানাযায়, স্বল্প ব্যয়ে গ্রামীণ সড়কে পূল/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পর আওতায় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুট ব্রীজটি নির্মাণ করে। ঠিকাদার সৈয়দ মিনার হোসেন কার্যাদেশ পেয়ে ২০০০ সালের ১৫ মে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এদিকে ব্রীজটি নির্মাণের মাত্র ২৩ বছরে ভেঙ্গে পড়ায় এর নির্মাণ মান নিয়ে এলকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন ওঠে। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় ৩ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যের নাছিরপুর খালের দু’পারে বসবাসকারী ৬ গ্রামের বাসিন্দাদের সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ফুট ব্রীজ। দু’পারের বসবাসকারী ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ব্রীজটিই ছিল একমাত্র ভরসা। খালের এপারে তালতলা ও পারে গোয়ালবাথান-চিনিমলা এপারে অবস্থিত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক, আর ওপারে ১০ নং জি.টি.চিনিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এছাড়া লোনা পানি ও চিংড়ি অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চলের রোদে পোড়া বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার বেসাতিতে উপ-শহর কপিলমুনি কিংবা উপজেলা সদর পাইকগাছা পৌছাতে ভর করতে হতো এই ফুট ব্রীজে। একটি পিকাপের ভরে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় বৃহত্তর ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌছায়। বিভিন্ন পত্রিকায় “কপিলমুনির তালতলা সেতুভেঙ্গে খালে; ৬ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি” শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অতি সস্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ও কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় একটি কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়ছে, ফলে ভোগান্তি লাঘব হয়েছে এ জনপদের মানুষের।

এ বিষয়ে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার বলেন, ‘খালের দু’পারে বসবাসকারী কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ফুট ব্রীজটি। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি’র অর্থায়নে কাঠের পুল তৈরী করেছি।

Loading