চালের দাম সর্বোচ্চ দুই টাকা বাড়তে পারে

প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২

তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে হিসাব করলে চালের দাম সর্বোচ্চ দুই টাকা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এর মধ্যে হঠাৎ করে ৮ বা ১০ টাকা বাড়িয়ে দেয়াকে অনুচিত বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদুল হক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রী হলেও নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী মনে করি। মানুষ সুখে থাকলেই নিজেকে মন্ত্রী হিসেবে সফল মনে করব। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা প্রকৃতির মতো অস্থির।

তিনি বলেন, দেশের প্রকৃতির যেমন স্থিরতা নেই, একইভাবে দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝেও নেই কোনো স্থিরতা। অস্থির ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দেন। তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি মোকাবিলা করা হবে।

মন্ত্রী জানান, দেশে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। এবার আউশ ধানের উৎপাদন খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ভারত চাল রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর থেকেই দেশে পুনরায় চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে চাল দেশে উৎপাদন হওয়ায় সার্বিক দিক বিবেচনায় চালের দাম বেঁধে দেয়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। ভারতে কৃষকদের ছোট প্যাকেটে করে প্রণোদনা দেয়া হতো। ওই প্যাকেটে ধানের বীজও থাকত। সেখান থেকে মিনিকেট শব্দটি এসেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ডিলারদের মাধ্যমে আটা বিক্রি শুরু হবে। দাম বাজার মূল্যের চেয়ে অর্ধেকেরও কম হবে। আর পাচার বন্ধে এখন থেকে খোলা আটার পরিবর্তে প্যাকেট করা আটা সরবরাহ করা হবে।

Loading