আগুন সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে তাদের প্রতিহত করতে হবে

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৩, ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন “আমরা বিএনপির সমাবেশে বাধা দিবো না”। এখনো তাদের আমরা কোন সমাবেশে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু গতকাল বিএনপির সমাবেশে দেখলাম তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করছে আর সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে। ২০১৩-২০১৪ সালে দেখেছি সমাবেশ করতে গিয়ে নিরীহ মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বিএনপি সারাদেশে ৫শত জায়গায় বোমা হামলা চালিয়েছিল। এখনও বিএনপির সমাবেশে যারা যাচ্ছে তাদের পেট্রোল বোমা বাহিনী আছে। তাই তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে তাদের প্রতিহত করতে হবে ।
আজ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব হাজারো বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো, তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা এ ¯েøাগানে উজ্জিবীত করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠিন করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনি জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৫৪%। আমরা আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর গড়ে যাওয়া সে রেকর্ড অর্জন করেত পারিনি। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন এবং আমরা যদি সেই জিডিপি ধরে রাখতে পারতাম তবে দশ বছরের মধ্যেই আমরা পেতাম উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ । ১৫ই আগস্টের সে কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্যদিয়ে এদেশের স্বাধীনতাকে হত্যার পাশাপাশি বাঙালী জাতির উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই হত্যাকান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। কারন একজন সেনাপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব ছিলো নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও সেখানে ছুটে যাওয়া। অথচ মৃত্যুর সংবাদ যখন জিয়াউর রহমানের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় তখন জিয়াউর রহমানের জবাব ছিল তাতে কি হয়েছে! উপরাষ্ট্রপতি তো আছে। তার এ বক্তব্যই প্রমান করে জিয়াউর রহমান এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত।
এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের বন্দুকের নল হতে নির্গত দল হচ্ছো বিএনপি। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল । আপনারা জানেন কাককে যখন খাবারের উচ্ছিষ্ঠ বিলিয়ে দেওয়া হয় তখন সেখানে অনেক কাক জড়ো হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ঠ বিলিয়ে দিয়েছিল সেই উচ্ছিষ্ঠ খাওয়ার জন্য অনেক বড় বড় রাজনীতিক নেতা বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল সাহেব, গয়েশ^র বাবুসহ আরো যে সমস্ত বাবুরা আছেন তারা হচ্ছেন রাজনীতির কাক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে পুকুরে পুটিমাছের সাথে মলামাছও লাফায়। ঠিক তেমনি বিএনপির নেতারা এখন পুটিমাছ আর মলামাছের মতন লাফাচ্ছে। সমগ্রপৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আমাদের দেশে সবমিলিয়ে ৩৮ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমাদের দেশে ডিজেলের দাম ১১৪ টাকা পশ্চিমবাংলায় ডিজেলের দাম ১১৬ টাকা। অক্টেনের দাম ১৩৫ টাকা পশ্চিমবাংলায় ১৩৫ থেকে ৪০ টাকা। মন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, ভারতের অর্থনীতি কি আমাদের চেয়ে দুর্বল? বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতেও ছয়মাস আগে তেলের দাম বাড়িয়েছিল অথচ প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তেলের দাম বাড়ায়নি।
আবদুল মোনাফ শিকদারের সভাপতিত্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভা মেয়র শাহজাহান শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিসতি, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

Loading