অবৈধ বাস জব্দের চিরুনি অভিযান ১৭ থেকে ২৮ জুলাই

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ , জুন ২১, ২০২২
ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে আগামী ১৭ জুলাই হতে ২৮ জুলাই পর্যন্ত যৌথ অভিযান পরিচালনা করব আমরা। অভিযানে অবৈধ বাস জব্দ করব।

মঙ্গলবার (২১ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৩তম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অভিযানে চিহ্নিত অবৈধ ১ হাজার ৬৪৬টি বাস, যারা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে-চুকিয়ে বিভিন্ন যাত্রাপথে চলে, এদেরকে আমরা ঢাকা শহরের যেখানে পাব সেখানেই ব্যবস্থা নেব। শুধু দিনের বেলায়ই নয়, প্রয়োজনে আমরা রাতেও অভিযান পরিচালনা করব। তারা টার্মিনালে রাখলে টার্মিনালে থেকে খুঁজে বের করব, রাস্তায় রাখলে রাস্তার মধ্য থেকে খুঁজে বের করব। কাউন্টারের পাশে রাখলে কাউন্টারের পাশ থেকে আমরা খুঁজে বের করব। আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ১ হাজার ৬৪৬টি বাস জব্দ করব এবং ধ্বংস করব।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নগরের ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় ২০০ নতুন বাস চালু করা হবে। আমরা নতুন তিনটি যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। এই তিনটি যাত্রাপথেই আমরা আবেদন পেয়েছি। সেই আবেদনগুলোসহ বিআরটিসির আবেদন পর্যালোচনা করেছি। আমরা নতুন তিনটি যাত্রাপথের মধ্যে ২২ নম্বর যাত্রাপথে অভি মোটরসের ২০২২ সালে নির্মিত ৫০টি বাস চালুর প্রস্তাব পেয়েছি। আমরা তাদের আবেদন নিয়েছি। একইভাবে ২৩ নম্বর যাত্রাপথে হানিফ এন্টারপ্রাইজ ২০২২ সালে নতুন নির্মিত ১০০টি বাস চালুর আবেদন করেছে। আমরা সেটাও নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২৬ নম্বর যাত্রাপথে বিআরটিসির আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ৫০টি ডাবল ডেকার বাস দিয়ে চালু করা হবে।

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি আরও বলেন, আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২২ সালের মধ্যেই এই বাসগুলো নির্মিত হবে, আমাদের সব অবকাঠামো নির্মাণও সম্পন্ন হবে। আমাদের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যদি সম্মত হন তাহলে তাকে প্রধান অতিথি করে আমরা ১ সেপ্টেম্বর নতুন তিনটি যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বাস কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকা নগর পরিবহন ঢাকাবাসীর কাছে সমাদৃত হয়েছে। একটি দুটি বাস কমল বা বাড়ল, সেটা কিন্তু সাফল্যের নির্ণায়ক নয়। সফলতার বিষয় হচ্ছে, এই যাত্রাপথটি এখনও চালু আছে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রান্স সিলভা তাদের বাসগুলো সরিয়ে নিয়েছে। তারা নতুন আরও ২০টি বাস চালু করার আবেদন করেছিল কিন্তু আমরা তাদেরকে নতুন করে আর অনুমোদন দিব না। এছাড়া জাহান এন্টারপ্রাইজ ২০টি বাস চালুর আবেদন করেছিল এবং সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। সুতরাং সেই বাসগুলো এ যাত্রাপথে আমরা চালু করব।

আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রাপথগুলোতে যাত্রী ছাউনি, বাস-বেসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিয়া, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Loading