রমজানে খাবার নিয়ে বিপাকে কুবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৬, ২০২২

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যেখানে রোজায় প্রোটিন ও পর্যাপ্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন সেখানে নিম্ন মানের খাবার উচ্চ মূল্যে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও তিনটি হল যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ডাইনিংয়ের খাবার সন্তোষজনক নয় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। কিন্তু মেয়েদের একটি মাত্র হল নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান তুলনামূলক কিছুটা ভাল।

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং এ দেখা যায়, পূর্বে যে খাবার ৩৫ টাকা ছিল সে খাবারের সাথে সেহেরীতে একটি মাত্র ডিম অথবা কোনো ভাজি যোগ করে ৬০ টাকা করে রাখা হছে। ভিন্ন চিত্র নয় নজরুল হল, দত্ত হল ও ক্যাফেটেরিয়াতেও দাম বাড়লে মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শিক্ষার্থীরা।

রমযানে সেহেরীতে হল থেকে বাইরে গিয়ে খাওয়াটা ভোগান্তির, তাছাড়া বাহিরের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বেশি। তাই ন্যায্যমূল্যে হলে খেতে পারলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকার হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং ম্যানেজার ওসমান ফারুক বলেন, “সেহরিতে আমরা কয়েক আইটেম দিয়ে থাকি, যার মূল্য কোটবাড়ি ও আশেপাশের হোটেলগুলোর থেকে কম ও মানসম্মত।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় খাবারের মূল্য তুলনামূলক বেশি মনে হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থী বান্ধব চিন্তা করছি।”

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, হলের খাবারের দাম অনেক বেশী নেওয়া হচ্ছে। অন্য সময়ের ৩৫ টাকার মিলের সাথে নামমাত্র আইটেম যোগ করে সেহেরীতে ৬০ টাকা রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশির ভাগ মধ্য বিত্ত পরিবারের সন্তানরাই পড়ালেখা করে। বাহিরের হোটেলের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিয়াতে খাবার তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করে সেখানে খাওয়ার কিন্তু ক্যাফেটেরিয়ার খাবার খুবই নিম্নমানের। বিশেষত সেহরির খাবারটা মূল্য অনুযায়ী মানসম্মত না।”

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি দ্রুত প্রভোস্টের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।

সেহেরিতে দাম বৃদ্ধি বিষয়ে নজরুল হলের প্রভোস্ট মিহির লাল ভৌমিক বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সেহেরির খাবারের দাম ঠিক করা হয়েছে। এতে যদি শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ করে খাবার দাম বেশি ও মানসম্মত নয় আমরা আবার আলোচনা করবো শিক্ষার্থীদের সাথে।

এই বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সেহরিতে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। ৩৫ টাকা থেকে ৬০ করা হলে এটা অবশ্যই একটু বেশি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো সেহেরিতে খাবারের অন্য আইটেম বাড়ানো হয়েছে কিনা এবং দাম অনুযায়ী মানসম্মত কিনা।

Loading