বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, “রায় লেখার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আলাদা শাখা চালু হয়েছে।”

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, “আজকের দিনে আমাদের মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আর তারা যে চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন, আমাদেরও সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।”

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। গর্ব আর শোকের এই দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেছে জাতি।

করোনাভাইরাস মহামারীতে গত দুই বছর ধরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সব আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে সরকার।

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের পক্ষে রোববার রাত ঠিক ১২টা ১ মিনিটে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

শ্রদ্ধা জানানো হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট আ্যট আর্মস কমডোর মিয়া মোহাম্মদ নাইম রহমান।

বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ মিনারের বেদিতে।

সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানায় এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

Loading