ধামরাইয়ের বাথুলি—সুয়াপুর সড়কে যানবাহনসহ মানুষ চলাচল অনুপযোগী ঢাকার ধামরাইয়ে বাথুলি থেকে সুয়াপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কগুলোর অবস্থা এতই খারাপ যে হালকা যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আর একটু বৃষ্টি হলেই বড় বড় গর্তে পানি জমে কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। এসময় এ সড়কে চলাচলকারীদের কাঁদায় জামা—কাপড়ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জানা গেছে, ঢাকা—আরিচা মহাসড়কের সংযোগ ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুয়াপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের আশে—পাশে কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মাটি,কয়লা, ইটসহ অন্যান্য মালামাল আনা—নেয়ার জন্য ওইসব সড়কে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচল করছে। এর ফলে সড়কের কার্পেটিং উঠে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গত বন্যায় সড়কের অনেক স্থান তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে ছোট—বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায়। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে ট্রাকসহ যেকোন ভারি যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের কোন পরিবেশ নেই। এতে স্থানীয় বাথুলি, বালিথা, নওগাঁও, বারপাইখা, ভাটারখোলা, কেষ্টিনওগাঁও, রাজনগর, ঈশাননগর, দেলদা, বেটুয়াইল, সুয়াপুর, হাইলাঘাট, কিশোরীনগর, জালসা, বেলিশ্বরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে বাথুলি বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পর্যন্ত মাত্র ৩০০ গজ সড়কে বছরের প্রায় ৬ মাসই খানাখন্দে ভরপুর হয়ে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এ সড়কটি দ্রুত মেরামত না করা হলে প্রতিবাদ সরুপ খানাখন্দ সড়কে ধানের চারা রোপন করা হবে। এছাড়া ইটভাটার মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে এ সড়কের আশে—পাশের বাড়ি ঘরের ভেতর ধুলা—বালি গিয়ে খাবারে ঢুকছে। আর ধুলা—বালিযুক্ত খাবার খেয়ে এলাকাবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ধামরাইয়ের বাথুলি—নওগাঁও গ্রামবাসীর অভিযোগ, ইটভাটার মালিকরা এসব গ্রামের ভেতর দিয়ে সরকারি নিয়ম না মেনেই বেপরোয়াগতিতে ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে সড়কের এই বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। আর এর খেসারত দিচ্ছি আমরা। ধামরাইয়ের বালিথা গ্রামের বাসিন্দা গুণীজন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুয়াপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হলেও কতৃর্পক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। দ্রুত এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা প্রয়োজন। স্থানীয় সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, বন্যায় বাথুলি—সুয়াপুর সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েকবার বলা হয়েছে। সম্প্রতি আমি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সড়কের কয়েকটি স্থানে ইটের আধলা ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক জানান, বন্যা ও অতিরিক্ত ওজনের বেপরোয়া ট্রাক চলাচলের কারণেই সড়কটি অতিদ্রুত নষ্ট হচ্ছে। খুব শিগগির টেন্ডারের মাধ্যমে বেহাল সড়কটি সংস্কার করা হবে।

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

 

ঢাকার ধামরাইয়ে বাথুলি থেকে সুয়াপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কগুলোর অবস্থা এতই খারাপ যে হালকা যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
আর একটু বৃষ্টি হলেই বড় বড় গর্তে পানি জমে কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। এসময় এ সড়কে চলাচলকারীদের কাঁদায় জামা—কাপড়ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা গেছে, ঢাকা—আরিচা মহাসড়কের সংযোগ ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুয়াপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের আশে—পাশে কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মাটি,কয়লা, ইটসহ অন্যান্য মালামাল আনা—নেয়ার জন্য ওইসব সড়কে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচল করছে। এর ফলে সড়কের কার্পেটিং উঠে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গত বন্যায় সড়কের অনেক স্থান তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে ছোট—বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায়। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে ট্রাকসহ যেকোন ভারি যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের কোন পরিবেশ নেই। এতে স্থানীয় বাথুলি, বালিথা, নওগাঁও, বারপাইখা, ভাটারখোলা, কেষ্টিনওগাঁও, রাজনগর, ঈশাননগর, দেলদা, বেটুয়াইল, সুয়াপুর, হাইলাঘাট, কিশোরীনগর, জালসা, বেলিশ্বরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে বাথুলি বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পর্যন্ত মাত্র ৩০০ গজ সড়কে বছরের প্রায় ৬ মাসই খানাখন্দে ভরপুর হয়ে থাকে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এ সড়কটি দ্রুত মেরামত না করা হলে প্রতিবাদ সরুপ খানাখন্দ সড়কে ধানের চারা রোপন করা হবে। এছাড়া ইটভাটার মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে এ সড়কের আশে—পাশের বাড়ি ঘরের ভেতর ধুলা—বালি গিয়ে খাবারে ঢুকছে। আর ধুলা—বালিযুক্ত খাবার খেয়ে এলাকাবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ধামরাইয়ের বাথুলি—নওগাঁও গ্রামবাসীর অভিযোগ, ইটভাটার মালিকরা এসব গ্রামের ভেতর দিয়ে সরকারি নিয়ম না মেনেই বেপরোয়াগতিতে ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে সড়কের এই বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। আর এর খেসারত দিচ্ছি আমরা।
ধামরাইয়ের বালিথা গ্রামের বাসিন্দা গুণীজন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুয়াপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হলেও কতৃর্পক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। দ্রুত এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা প্রয়োজন।
স্থানীয় সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, বন্যায় বাথুলি—সুয়াপুর সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েকবার বলা হয়েছে। সম্প্রতি আমি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সড়কের কয়েকটি স্থানে ইটের আধলা ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক জানান, বন্যা ও অতিরিক্ত ওজনের বেপরোয়া ট্রাক চলাচলের কারণেই সড়কটি অতিদ্রুত নষ্ট হচ্ছে। খুব শিগগির টেন্ডারের মাধ্যমে বেহাল সড়কটি সংস্কার করা হবে।

Loading