জেলা গুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়া নেত্রকোণা।

প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ , আগস্ট ৩১, ২০২১

মহুয়া মলুয়ার অঞ্চল,হাওর বাওরের অঞ্চল,ভাটি অঞ্চলের স্থান নেত্রকোণা জেলা। উত্তরের গারো পাহাড়ের চিনা মাটির পাহাড়,সুমেশ্বরী নদীর বিশাল বালু রাশি সুসং দূর্গাপুরকে এক নৈসর্গিক শ্যামলীর লীলা ভূমিতে পরিণতি করেছে। সুসং দূর্গাপুর নেত্রকোণার এক ঐতিহ্যের নাম। পর্যটন হিসেবে দীর্ঘদিন পরিচিতি থাকলেও এর তেমন উন্নতি সাধন হয়নি। এটাকে উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলতে পারলে নেত্রকোণার উন্নয়নের কিছুটা ছুঁয়া পেত। গুণী, জ্ঞানী,কবি সাহিত্যিকের জেলা নেত্রকোণা। এখানে কংস নদের মাছ সকলেরই লোভের দৃষ্টি কারে। সুদূর অতীত কাল থেকেই আথিতেয়তার প্রবণাতার জন্য মাটির কাছাকাছি সহজ সরল অনাড়ম্বর মানুষদের সুখ্যাতি রয়েছে। এখানকার মানুষেরা কৃষি আর মৎস্যের উপর নির্ভর করে জীবীকা উপার্জন করে। মাথা পিছু আয়ের দিক থেকে এ জেলা সর্ব নিন্ম। উৎপাদন বলতে কেবল ধানকে বুঝায়। তাও কোন কোন বছর খরা,ঝড়,অতি বৃষ্টি,বন্যা ইত্যাদির কারণে ফসলের ঘাটতি তো লেগেই আছে। কলকারখানা তেমন নেই বললেই চলে। ফলে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। কর্মহীন যুবকদের বেকারত্ব সমস্যা প্রকট। এ ছাড়াও এ জেলার বিভিন্ন থানার সাথে যোগাযোগের রাস্তা ও দুরাবস্থা। বিভাগীয় সিলেটের সাথে আজ পর্যন্ত ও নেত্রকোণার সড়ক পথের যোগাযোগ সুগম হয়ে উঠেনি। আসলে যোগাযোগ একটি উন্নয়নের সোপান। এ সোপান নেত্রবাসির দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আশার কথা, কিছু কিছু উন্নতির ছুঁয়া পড়লেও কচ্ছপ গতির কারণে মানুষের মনে ভাটা পড়েছে। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে ধীরতা তার মধ্যে একটি। আশ করি,এ সময়কার যোগ্য রূপকার, কান্ডারী নেত্রকোণাকে উন্নয়নের আসন দিবে। অতীতের মত নিরাশ না করে এ জেলাকে উন্নয়নের বাস্তব স্বপ্ন দেখাবে।

Loading