বিধি-নিষেধ বাড়তে পারে আরও সাত দিন, চূড়ান্ত কাল

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২, ২০২১

চলমান বিধি-নিষেধ আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে
কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করার সম্ভাবনা রয়েছে। কাল মঙ্গলবার অন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় অনলাইনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত চিঠি সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্টদেও কাছে পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালক অংশ গ্রহণ করবেন।

গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়। এরপর ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশু বেচাকেনা এবং মানুষের চলাফেরার সুযোগ দিয়ে আটদিন বিরতির পর গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়। তা আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাতে শেষ হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধ আরও ১০ দিন বৃদ্ধিও সুপারিশ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলমান বিধি-নিষেধ শেষে নতুন বিধি-নিষেধের সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও আর লঞ্চসহ গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালু করা করা হবে। রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা চালু রাখা হবে। এসবই চূড়ান্ত করা হবে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে।

গত ৩০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধি-নিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত ৩১ জুলাই সাংবাদিকদের জানান, বিধি-নিষিধ বাড়ানোর বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে। ৩ বা ৪ তারিখে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেবো। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিভিন্ন প্রস্তাব আছে, সেগুলো বিবেচনা করে কিভাবে করলে এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেটি আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের কাজকর্মগুলো, যেগুলো একেবারেই অপরিহার্য, সেগুলো চালানো। সেটি কী করলে ভালো হবে, সেজন্য আরেকটু সময় আমাদের লাগবে।

 

Loading