মিতু হত্যায় সুপারির টাকা নয় লাখ!

প্রকাশিত: ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ , মে ১৪, ২০২১

মাহমুদা আক্তার মিতুর হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুইটার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে টিম পিবিআই। হত্যাকারীদের সুপারির টাকা হিসেবে তিন লাখ নয় কয়েক দফায় আরো বেশি টাকা দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার। টাকার অংকটা হতে পারে ছয় লাখ থেকে নয় লাখ টাকা। ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া হয়। এর প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে বলে আজ বৃহস্পতিবার দাবি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

ইতোমধ্যে বাবুলের দুই বন্ধুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাথমকিভাবে ‘তিন লাখ টাকা’ দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। বিকাশে মুসার কাছে এ টাকা পৌঁছানোর স্লিপও পিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তবে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, “খুনিদের সাথে বাবুলের লেনদেন হওয়া টাকার পরিমাণ ছয় লাখ থেকে নয় লাখও হতে পারে।”

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার পর থেকে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে টিম পিবিআই। পিবিআই-এর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর দুইটা পর্যন্ত তিনি ঘুমে ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি ‘শক’টা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনি গ্রেপ্তার হবেন, এটি তার ধারণারও বাইরে ছিল।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় পিবিআই বাবুলের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানানোর পর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন গতকাল বুধবার দুপুরে পাঁচলাইশ থানায় নতুন একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা হওয়ার পর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তরকে আদালত ভবনে নেওয়া হয়। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়। প্রথম দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি বলেও পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।##আজাদী

Loading