সিঙ্গাপুরে সাবেক মালিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্মীর মামলা নিউজ ৭১ অনলাইন নিউজ ৭১ অনলাইন প্রকাশিত: ১১:১২ পূর্বাহ্ণ , জানুয়ারি ৭, ২০২১ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করোনাকালে ঘরে আটকে রাখার দায়ে বাংলাদেশি এক শ্রমিক সিঙ্গাপুরে সাবেক চাকরিদাতা এবং ডরমিটরি অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ‘ভাইরাসে আক্রান্ত’ এমন আখ্যা দিয়ে জোর করে হাসিবুর রহমানসহ আরো ২০ জন শ্রমিককে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে জয়লিসিয়াস ম্যানেজমেন্টের ডরমিটরি অপারেটরকে এবং নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে ভি-স্পেক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সাপ্লাইস নামের কোম্পানিটির। সংবাদসংস্থা এএফপির বরাতে জানা যায়, ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে নির্মাণ শ্রমিক মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান জয়লিসিয়াস ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন।এর আগে জয়লিসিয়াস ম্যানেজম্যান্টের ডরমিটরি স্টাফ হাসিবুরসহ আরও ২০ কর্মীকে গেল বছরের ১৯ এপ্রিল তারিখে ঘরে বন্দী করে রাখেন। হাসিবুরের এক সহকর্মী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ধারণা করে তাকে হাসাপাতালে পাঠানোর পর বাকিদের বন্দী করে রাখা হয়।আদালতে পেশ করা কাগজপত্র থেকে জানা যায়, বন্দীত্বের এই সময়ে তাদেরকে একজনের গার্ডের সাহায্যে টয়লেটে যেতে দেওয়া হত। এছাড়া বাকিটা সময় তারা ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকতেন। যে ঘরে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল সেখানে আলোবাতাস প্রবেশের কোন উপায় ছিল না এবং ভ্যাপসা গরম ছিল।টিডব্লিউসিটু নামের একটি এনজিওর কাছে হাসিবুর ধর্ণা দিলে হাসিবুরদের নতুন একটু রুমে নেওয়া হয় যেখানে ঘরের সঙ্গেই একটি টয়লেট ছিল। তবে সেখানেও তাদের বাইরে থেকে আটকে রাখা হয়। মোট ৪৩ ঘণ্টা একটানা তাদের আটকে রাখা হয়। এমন আচরণে হাসিবুরসহ তার সহকর্মী অভিবাসী কর্মীদের মানুষ হিসেবে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে হাসিবুরের অভিযোগপত্রে জানানো হয়।ইতোমধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেই ডরমিটরি অপারেটরকে আটক করেছে। ভিস্পেক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সাপ্লাইস নামের কোম্পানিটির যেকোন নিয়োগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।এদিকে এই ঘটনার পর বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হাসিবুর। তিনি বলেন, আমি মনে করি এতে করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের কর্মচারীদের প্রতি এমন আচরণ করা থেকে বিরত থাকবেন।এদিকে সংবাদ সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে জয়লিসিয়াস এবং ভি-স্পেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন সাড়া দেয়নি।সূত্র- এএফপি, ফ্রিমালয়েশিয়াটুডে শেয়ার প্রবাসবিষয়: