খালাস চাইলেন মিন্নি

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ৬, ২০২০

বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে আপিল করেছেন তিনি।

এর আগে গত রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টে পৌঁছায় মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স। এদিন খালাস চেয়ে মিন্নির ওকালতনামাও আইনজীবীর কাছে জমা দেন তার বাবা।

সেদিন মিন্নির আইনজীবী ​জেড আই খান পান্না জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করবেন তারা।নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায় হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারেন। মূলত কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। তবে দণ্ডিতরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিলের সুযোগ পান।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এ ছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তারা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।গত ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে কিশোর গ্যাং বন্ড বাহিনীর হাতে খুন হন শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ)। সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীসহ তাদের অনুসারীরা। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এ সময় প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন রিফাতকে বাঁচানোর। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে রিফাতকে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন বিকালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রিফাত।

Loading