হাটহাজারীতে মাদানীর পদে বাবুনগরী

প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

শনিবার আহমদ শফীর মরদেহ দাফনের পরই শূরা কমিটি বৈঠকে বসে৷ বৈঠক শেষে শূরা সদস্য সালাহউদ্দিন নানুপুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ প্রথমটি হল আগামী শূরা বৈঠক পর্যন্ত তিন জনের একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা মাদ্রাসা পরিচালনা করবেন৷ এই কমিটিতে আছেন মুফতি আব্দুস সালাম, মাওলানা এয়াহিয়া ও মাওলানা শেখ আহমেদ৷ আর বাবুনগরীকে শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷’’

কতদিন পর পরবর্তী শূরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘৬ মাসের মধ্যে শূরা বৈঠক করার বাধ্যবাধকতা আছে৷ এখন যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা যাদি ভালো করেন, তাহলে তাদেরই পূর্নাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হবে৷’’ এই বৈঠকে ১২ জন শূরা সদস্যের মধ্যে ৮ জনই উপস্থিত ছিলেন বলে জানান এই শূরা সদস্য৷

বেশ কিছুদিন ধরে হেফাজতের আমির আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরীর বিরোধ শুরু হয়৷ এই দ্বন্দ্বের ফলে গত ১৭ জুন জুনায়েদ বাবুনগরীকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়৷ তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শেখ আহমেদকে৷ তিনি হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত৷ পরে বাবুনগরীর ভাগিনা মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার শাহকে মাদ্রাসা থেকে এক মাস আগে বের করে দেওয়া হয়৷ সবকিছু মিলিয়ে বাবুনগরীর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন৷ তাদের অভিযোগ, আহমদ শফী বয়স্ক হওয়ায় তাকে ভুল বুঝিয়ে তার ছেলে আনাস মাদানী এসব কাজ করিয়েছেন৷

গত বৃহস্পতিবার শূরা কমিটির বৈঠকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন আহমদ শফী৷ তার ছেলে আনাস মাদানীকেও শিক্ষা সবিবের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়৷ ঠিক একদিন পরই সেই পদে ফিরলেন আগে পদচ্যুত হওয়া বাবুনগরী৷

সালাহউদ্দিন নানুপুরী বলেন, ‘‘আজকের বৈঠকে হেফাজতে ইসলাম নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা হয়নি৷ এটা পৃথক সংগঠন৷ শিগগিরই তারা বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷” আগামী মাসেই হেফাজতে ইসলামীর কাউন্সিল হতে পারে বলে জানা গেছে৷

Loading