কুবিতে স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষক সমিতির আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ১:০৩ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ২৭, ২০২৪

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতি উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান রাজুর সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান , মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.জি.এম মনিরুজ্জামান বলেন, মার্চ মূলত অগ্নি ঝরা মাস।এই মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর আমরা নানা চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। এই মাসেই সবচেয়ে বেশি আন্দোলন হয়েছে। মূলত এই মাসেই স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ যারা জনগণকে অবহেলা করে কোনো না কোনোভাবে তাদের রশিটাকে টানতে হবে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যে দিকগুলো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সেগুলোই আমাদের সমাজকে আস্তে আস্তে এফেক্ট করছে। সবচেয়ে বড় দিকটা যা আমরা অবহেলা করেছি সেটা হলো জনসম্পৃক্ততা।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মো: আবু তাহের বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযোদ্ধা শব্দগুলো একে অপরের পরিপূরক। মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়। আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে। অনেকে মুখে স্বাধীনতার কথা বলে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে কিন্তু কাজ করে তার বিপরীত। তাদের কারনেই স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের কারণে আমরা স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অন্যতম দিক হচ্ছে দেশপ্রেম। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে তারা কখনো অন্য একটি দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারে না। যাদের মাঝে দেশ প্রেম আছে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে বিদেশের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে পারে না।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরেকটি আদর্শ হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে পারে না।

এ সময় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ মো. মুর্শেদ রায়হান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, কার্যকরী সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, মোহাম্মদ আইনুল হক, এবং মাহমুদুল হাসান রাহাত এবং কর্মচারী ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

Loading