কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ২৬, ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস-২০২৪ পালন করেছে কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। ২৫ মার্চ কানাডার অটোয়াতে এ দিবস পালিত হয়।

বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশনের অডিটোরিয়ামে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার শুরুতেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করে শোনান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা অন্যতম নৃশংস। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালি নিধনের পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়িত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল এবং ২ লাখের অধিক মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছিল।

হাইকমিশনার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার মধ্য দিয়েই একাত্তরের গণহত্যায় আত্মোৎসর্গকারী প্রতিটি প্রাণের প্রতি চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপনের আহ্বান জানান।

হাইকমিশনার কানাডায় ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য হাইকমিশনের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, হাইকমিশন ও বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডার (বিসিবিএস) যৌথ উদ্যোগের ফলে কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের উইনিপেগ-এ অবস্থিত কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর) তাদের ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স গ্যালারিতে ১৯৭১-এর গণহত্যার তথ্যচিত্র এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির স্থায়ী প্রদর্শন করতে সম্মত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর/অক্টোবর এ স্থায়ী প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের মিনিস্টার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

Loading