সিনহা হত্যা মামলা

ওসি প্রদীপসহ তিন আসামি ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২৮, ২০২০

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

দ্বিতীয় দফা চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বেলা সোয়া ৩টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ-৩ আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তামান্না ফারাহর আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে, এডভোকেট আহসানুল হক হেনার নেতৃত্বে একটি আইনজীবী প্যানেল চট্টগ্রাম থেকে আদালতে হাজির হয়ে ওসি প্রদীপসহ তিন জনের জামিন আবেদন করেন। একইসাথে রিমান্ড বাতিলেরও আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানির পর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ আবেদন দুটি নাকচ করে জামিন নামঞ্জুর করেন এবং প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর। তাই অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন। তাই আসামিদের ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা।’

এর আগে দুপুরে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার মুল আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলাল দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষ করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করে র‍্যাব।

এছাড়াও গত ২৪ আগস্ট বিকাল পৌনে ৪টার দিকে দ্বিতীয় বারের মতো রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এ মামলায় সিনহার দুই সফরসঙ্গীকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক রয়েছে।

Loading