ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত পেইনকিউর এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার ভাংচুর সহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগ নিউজ ৭১ অনলাইন নিউজ ৭১ অনলাইন প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ , জুন ২৫, ২০২৩ নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৯ শে জুন ২০২৩ ইং আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকায় সময় ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত পেইন কিউর এন্ড ফিজিও থেরাপি সেন্টারে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অতর্কিত হামলা ভাংচুর ও একজন কর্মকর্তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মোহাম্মদ মাহ্তাব উদ্দিন ও উম্বিয়া ইসলাম দম্পতির যৌথ মালিকানায় পরিচালিত পেইনকিউর এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে একদল মুখোশ ধারী দুর্বৃত্ত অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গেছে,একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীকে জিম্মি করে,ক্লিনিকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে,মুহূর্তের মধ্যে ক্লিনিকের অবস্থিত পেশেন্ট ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে ভয় ভীতির সঞ্চার ঘটায়।এ সময় অনেকই জীবন বাঁচানোর জন্য আর্তচিৎকার শুরু করলে।এতে সস্ত্রাসীরা সকলকে অভ্যর্থনা রুমে জিম্মি করে এবং অন্য সব রুমে ঢুকে ঢুকে ফার্নিচার কম্পিউটার টিভি স্কীনসহ সব কিছু ভাংচুর শুরু করতে থাকে।জীবননাশের ভয়ে কেউ বাধা দেয়ার চেষ্টা করেনি ও এগিয়ে আসেনি।ভাংচুর ও চিৎকারে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করছে পুরো ক্লিনিক।এ সময় দূর্বৃত্তরা ক্লিনিকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট উম্বিয়া ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ক্লিনিকের বাইরে অবস্থানরত মাইক্রো বাসে উঠিয়ে নিয়ে সস্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে উম্বিয়া ইসলামের স্বামী ক্লিনিকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহ্তাব উদ্দিন ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন এবং স্ত্রীর অপহরণের ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান।উম্বিয়া ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদদাতাকে জানানো হয়,উম্বিয়া ও মাহ্তাব উদ্দিন দম্পতির প্রথম সন্তান দশম শ্রেণির ছাত্রীকে এলাকার স্থানীয় মাস্তানদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তারা লোকাল থানায় একটি জিডি করেন ও ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরিবারের দাবি পৃর্ব পরিকল্পিত ভাবে একেই বিষয়ের জের ধরে ক্লিনিকের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে এবং উম্বিয়া ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরেই বিষয়টি স্থানীয় লোকাল থানায় অবগত করা হলেও থানা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে যাননি।অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে পরের দিন ২০শে জুন রাত ৯ টায় উম্বিয়া ইসলামের স্বামী মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিনকে ফোন করে উম্বিয়া ইসলামের মুক্তিপন বাবদ ১০(দশ)লক্ষ টাকা দাবি করে এবং অপহরণকারী দূর্বৃত্তরা হুমকি দিয়ে বলেন।উম্বিয়া ইসলামের অপহরণের বিষয়টি কেউ যেন ভুলেও থানা পুলিশকে খবর না দেয়।যদি থানা পুলিশ ও কোন রকমের চালাকি করা হয়, তাহলে উম্বিয়া ইসলামকে হত্যা করা হবে এবং তার লাশ ঘুম করার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা।এ সময় কোন উপায় না পেয়ে মোহাম্মদ মাহ্তাব উদ্দিন লোকাল থানায় এবং ডিবি পুলিশ ও র ্যাব সহ সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেও কোন প্রতিকার পায়নি তিনি। কারও তরফ থেকে তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধারের কোন আশ্বাস না পেয়ে,পরে তিনি ঘটনার দুইদিন পর গত ২২শে জুন বিকাল ৩ ঘটিকার সময় অপহরণকারীদের নির্দেশিত স্থানে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে পৌঁছে দেয়ার ৩/৪ ঘন্টা পর।রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে সস্ত্রসীরা উম্বিয়া ইসলামকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।অত্যন্ত মর্মান্তিক আক্ষেপের সাথে উম্বিয়া ইসলামের স্বামী মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন কান্নায় জড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন,বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনি ও গোয়েন্দা সংস্থার ডিবি অথবা র ্যাব কেউই সাধারণ জনগণের পক্ষে নেই।বিপদে পড়লে বুঝা যায় তাদের কাছে সাধারণ জনগণের তেমন কোন মূল্য নেই বললে চলে।উপরে উল্লেখিত বিষয়ে তারা বলেন,মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিনের স্ত্রী উম্বিয়া ইসলাম সে সরকার বিরোধী দলের কার্যকলাপের সাথে জড়িত বলে তাদের কাছে খবর আছে। শেয়ার রাজধানীবিষয়: