যশোরের বেনাপোলে ৩ কেজি স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগে অপহৃত রং মিস্ত্রী ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) হত্যায় ১২ আসামির মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে প্রধান আসামিসহ এজাহার ভুক্তরা পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে ঢাকার কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার এলাকা থেকে অপহরণে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে ডালিম কুমার দাস, কুমিল্লার দেবিদার উপজেলার ঠাকুরদাস নিয়োগির ছেলে অঞ্জন নিয়োগি ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দৌলত মুন্সির ছেলে রিয়াজ হোসেন।

যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেন জানান, ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ২৫টি বার অনুমান ৩ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের হোতা কমিশনার কামাল গং সুমনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে মারধর করে। তাদের অপচেষ্টায় স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে এবং লাশ মাগুরা সদর থানাধীন রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। অন্যান্য এজাহার ভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং কর্তৃক বেনাপোল থেকে শার্শার ট্যাংরালী গ্রামের ওসমানের ছেলে ওমর ফারুক ওরফে সুমনকে অপহরণ পূর্বক হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। এঘটনায় হত্যার শিকার সুমনের মা বাদী হয়ে বেনাপোল বন্দর থানায় ৪ পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলার সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবাহক কামালসহ চার জনের নাম উল্লেখ্য ও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে।