পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও আদার বাজার অস্বাভাবিক

প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ণ , জুন ৬, ২০২৩

আমদানির ঘোষণার পরপরই পেঁয়াজের ঝাঁজ কিছুটা কমেছে। পাইকারি বাজারে কেজিতে কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে আদার বাজার অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এক কেজি আদার দাম এখনও ৩শ’ টাকার উপরে।

রোজার পর থেকেই বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। রোববার খুচরা বাজারে ১শ’ টাকায় কিনতে হয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ। এরপরই আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।

এতেই প্রভাব পরা শুরু হয় বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, আমাদানির ঘোষণার পরপরই পাইকারা দাম কমাতের শুরু করে।KSRM
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারদর কমে গেছে, ৮০-৮৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আসার খবরে দাম কমানো হয়েছে।

আমদানি করা পেঁয়াজ না আসলেও কিভাবে দাম কমলো এমন প্রশ্নের সদুত্তর নেই পাইকারদের। তারা জানান, এলসি পেঁয়াজ আসলে আরও দাম কমবে, তখন লোকসানে বিক্রি করতে হবে।

ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার। আগে কমলোনা কেন, এটা সিন্ডিকেটের কারসাজি। এরা উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সবাই এক।

ক্রেতারা জানান, আমরা ভোক্তারা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছি। দেখা যায়, সামান্য সংকটের অবস্থা পেলেই সিন্ডিকেটরা চড়া দাম নিচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ পাশাপাশি দেশ, ওখানে ১৫ টাকা কেজি আর আমাদের খেতে হয় ৯০ টাকায়।

এদিকে, গত ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আদার দাম। অধিকাংশ দোকানে মিলছে না আদা। যা পাওয়া যাচ্ছে দর প্রতি কেজি ৩শ’ থেকে ৩২০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৫-৭ বছরে আদা ৩শ’ টাকায় বিক্রি করি নাই। গতবছর সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

লাগমহীন আদার বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি বাড়ানোর দাবি ক্রেতাদের।

Loading