গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত বলেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে

প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৩, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। স্থিতিশীলতার জন্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার। সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আমার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেছি যে, স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা চায় না, ন্যায্য পাওনা চায়। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে স্বল্পোন্নত দেশসমূহ সংক্রান্ত ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে আমি ৪ থেকে ৮ মার্চ ২০২৩ দোহা সফর করি।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ফ্রম পটেনশিয়াল টু প্রসপারিটি। এর আগে ২০০১ সালে আমি ব্রাসেলসে তৃতীয় এলডিসি সম্মেলন এবং ২০১১ সালে ইস্তাম্বুলে চতুর্থ এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম। জাতিসংঘ এলডিসি সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের শেষ অংশগ্রহণ। কারণ, ২০২৬ সালে আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাব।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি বাংলাদেশের অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরি। একইসঙ্গে আমি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আমাদের বিভিন্ন দাবি ও প্রত্যাশার কথা উত্থাপন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ মার্চ আমি কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এলডিসি-৫ সম্মেলনের ওপেনিং প্লেনারি মিটিংয়ে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিই। এই অনুষ্ঠানে আমি ছাড়াও কাতারের আমির, জাতিসংঘের মহাসচিব, ৭৭তম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি এবং এলডিসি গ্রুপের বর্তমান চেয়ার মালাউই-এর প্রেসিডেন্ট বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমি আমার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেছি যে স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না, বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়। আমি কোভিড অতিমারি ও চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য গৃহীত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নিরাপদ অভিবাসন, জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বিশেষ প্রয়োজনের কথা তুলে ধরি। এ ছাড়া, বাংলাদেশসহ উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন অর্জনকে গতিশীল রাখতে বর্ধিত সময়ের জন্য এলডিসিদের জন্য প্রযোজ্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।

Loading