ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অসহায় নার্স শিক্ষার্থীর পাশে দাড়ালেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

সুস্থির সরকার সুস্থির সরকার

বিভাগীয় প্রধান ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ৭, ২০২২

একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অসহায় নার্স শিক্ষার্থীর পাশে দাড়িয়ে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এক উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত সৃষ্টি করলেন যা চিরকাল স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তিনি প্রমান করলেন, তিনি শুধু জেলা প্রশাসকই নন একজন মানবিক মানুষও।

তিন বছরের বেতন ও হোস্টেল ভাড়ার প্রায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল শিলা হাজং নামের শিক্ষার্থীর।তিনি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন।সাথেই সাথেই সংবাদের বিষয়টি তিনি দুর্গাপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজীব-উল-আহসান এর মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানেন।

শিলা হাজং ময়মনসিংহ জেলার ব্রাহ্মপল্লির স্কুলার নার্সিং ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী । তার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নে। বড় ভাই পোশাক শ্রমিক রঘুনাথ হাজং। তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করে যে সামান্য টাকা পান তা দিয়ে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর সংসারের ভরণপোষণ কোনভাবে চলে। কিন্তু একমাত্র বোন শিলাকে পড়ানোর আশা তার। তার বাবা রবীন্দ্র হাজং দিনমজুরি করে সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করেন। তাতে সংসারের ব্যয়ভার বহন করা ও শিলার পড়ালেখার খরচ জোগানো সম্ভব নয়।

এমন বিষয় জানার পর ৬ নভেম্বর তারিখ জেলা প্রশাসক মেয়েটিকে তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন এবং  তার হাতে ০১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এর ফলে এ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার পথের সমস্ত বাধা দূর হলো। জেলা প্রশাসক বলেন, “ওই শিক্ষার্থীর পড়াশুনার যাবতীয় খরচ তিনি  বহন করবেন।তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন সবসময় মানুষের দুর্দিনে মানবিকতার সাথে পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।” তিনি শিলা হাজং নামের এ শিক্ষার্থীকে নার্সিং এর এ মহান পেশার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একইভাবে সেবার দ্বারা সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান৷

এমন সহায়তা পেয়ে শিলা হাজং বলেন, “আমি কথা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। জেলা প্রশাসক স্যারকে আমার ধন্যবাদ দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই। তিনি আমাদের কাছে ঈশ্বরের মত হয়ে এসেছেন। এই টাকা না পেলে আমার পরীক্ষা দেয়া হতো না। আমি উনার এই মহানুভবতার কথা জীবনভর মনে রাখব।”

 

Loading