হঠাৎ উপবৃত্তির টাকা উধাও!

প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ , আগস্ট ১১, ২০২২

যশোরে অনেক শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা টাকা তুলতে গেয়ে জানতে পারেন আগেই কে বা কারা তাদের টাকা তুলে নিয়েছে। এতে হতাশ অভিভাবকরা।

জানা যায়, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে সরকার ১৯৯৯ সালে উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করে। কয়েক ধাপে এর পরিধি বাড়িয়েছে সরকার। বর্তমানে প্রাক প্রাথমিকে মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী মাসে ১৫০ টাকা হারে এ প্রকল্পের আওতায় উপবৃত্তি পাচ্ছে। প্রতি তিন মাস পরপর এ বৃত্তি প্রদান করার কথা।

২০২১ সালে প্রথম কিস্তিতে ৬ মাসের টাকা একবারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেয়া হয়। দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি ৬ মাসের টাকা ছাড় করা করা হয়েছে গত জুলাই মাসে। তবে অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, তারা টাকা তুলতে গিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা পাননি। এজেন্টরা জানিয়েছেন তাদের টাকা আগেই কে বা কারা তুলে নিয়েছে। বিভিন্ন দফতরে এ নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না অভিভাবকরা।

যশোর ঝিকরগাছার মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট আবদুল হান্নান বলেন, ২০ তারিখ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে টাকা দিয়েছি। ২০ তারিখের পর কোনো গ্রাহককে আমরা টাকা দিতে পারিনি। পরে দেখি সব টাকা ক্যাশআউট হয়ে গেছে।

পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের টাকা তুলে নেয়া হয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

যশোর ঝিকরগাছা কৃষ্ণনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আকিফুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যেসব শিক্ষার্থী আছে তারা যেন সবাই উপবৃত্তির টাকাটা পায়।

যশোরের ঝিকরগাছা কলেজশিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সে তথ্য জানাতে না পারলেও যশোর সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অভিভাবকদের সর্তক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলায় ১ হাজার ২৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ১৯ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি সুবিধাভোগী। – সময় সংবাদ

Loading