বাংলাদেশের কাছ থেকে পাকিস্তানের অনেক কিছু শেখার আছে

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ , জুলাই ১৭, ২০২২

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির জন্য প্রশংসা করে বলেছেন, দেশটি যেভাবে সব ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করছে, ভবিষ্যতে এটি অগ্রগতির নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।

শুক্রবার কলকাতায় একটি নতুন যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ধরনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য একটি উদাহরণ।’

এসময় তিনি, আর্থ সামজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছ থেকে পাকিস্তানের শেখা উচিৎ- বলেও মন্তব্য করেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে ভারত খুবই খুশি যে বাংলাদেশ ধর্মীয় গোঁড়ামি পরিহার করে আধুনিকীকরণ, মধ্যপন্থা ও ধর্মনিরপেক্ষতার পথে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

কোনও বিশেষ দেশের নাম উল্লেখ না করে রাজনাথ সিং বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ, গোঁড়ামি ও সংকীর্ণতার সঙ্গে লড়াইরত ভারতের একটি প্রতিবেশী দেশের বাংলাদেশের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

তিনি বলেন, ‘দেশটি নিজেই দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও সন্ত্রাসবাদের সাথে লড়াই করছে এবং কখনও কখনও এটি ভারতকেও হয়রানি করার চেষ্টা করে। এর বিপরীতে, বাংলাদেশ ধর্মীয় গোঁড়ামি পরিহার করে আধুনিকীকরণ, মধ্যপন্থা ও ধর্মনিরপেক্ষতার পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও নিরাপত্তার মতো খাতে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।

গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই) লিমিটেডের একটি প্রজেক্ট ১৭এ ফ্রিগেট ‘দুনাগিরি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন ‘যদি ভারত তার শক্তি বাড়ায় তবে এটি কেবল নিজের স্বার্থে নয়, তার বন্ধুদের স্বার্থেও।’

রাজনাথ সিং বলেন, ভারত তার সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। ‘আমাদের নৌবাহিনীকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুর্যোগের সময়ে এটিকে অবশ্যই প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে, তিনি বলেন, নৌবাহিনীকে আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের প্রয়োজনের সময়েও সহায়তার জন্য প্রস্তুতত থাকতে হবে।

উত্তরাখণ্ডের একটি পর্বতচূড়ার নামে দেশীয়ভাবে নির্মিত যুদ্ধজাহাজ আইএনএস দুনাগিরির নামকরণ করা হয়েছে। এটি ১৭-এ প্রকল্পের চতুর্থ যুদ্ধজাহাজ। শুক্রবার হুগলি নদীতে এটি চালু করা হয়। এ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য মোট সাতটি শিবালিক শ্রেণীর ফ্রিগেট তৈরি করা হবে।

Loading