শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

মেধাশূন্য ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি বাড়ছে। তাদের মেধা-মননে জায়গা করে নিচ্ছে ভার্চুয়াল এক অস্বাভাবিক জগত, যে কারণে অনেক শিশুর মধ্যেই আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন মা- বাবারা।

অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল খোলা থাকলে পড়াশোনা কিছুটা হয়। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। গেমস ছাড়া তারা কিছুই বোঝে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেধাশূন্য ও পঙ্গু এক ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার তাগিদ দেন তারা।

ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের তালিকায় বিশ্বে সবার ওপরে বাংলাদেশ। কিন্তু উল্টো অবস্থা আক্রান্তের হারে। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ টিকাও দেওয়া হয়ে গেছে। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ, এমন প্রশ্ন অনেকের।

এডুকেশন ওয়াচের গবেষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা পঙ্গু এক ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছি। তাই স্বাস্থ্যবিধি আরও শক্তিশালী করে হলেও স্কুলগুলো খুলে দিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলছেন, করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হবে; যার কারণে বৃহত্তর পরিকল্পনার দিকে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টিভি ক্লাস, অনলাইন ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে।

তবে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের।- আরটিভি

Loading