চুয়াডাঙ্গায় অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ , জুন ১০, ২০২১

চুয়াডাঙ্গার জেলা শহরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সীমান্তবর্তী এলাকার সঙ্গে সঙ্গে শহরের অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। একদিনেই জেলায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩৭ জন। 

৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ২৫ শতাংশে। এ পর্যন্ত জেলায় ১০ হাজার ৭৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৮০ জন। সবশেষ করোনা প্রতিবেদনে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, বুধবার (৯ জুন) ৩৭ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৭ জন, দামুড়হদা উপজেলায় ১৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪ জন ও জীবননগর উপজেলায় ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

সদর উপজেলা শহরের রেলপাড়ার ৪ জন, সিএন্ডবি পাড়ায় ৩ জন, পলাশ পাড়ার ১ জন, কোর্টপাড়ার ১ জন, দৌলতদিয়ায় ৫ জন, মনিরামপুরে ১ জন, সাতগাড়ীতে ১ জন, শঙ্করচন্দ্রতে ১ জন, দশমাইলে ১ জন শনাক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগী রয়েছে ২৪১ জন। এর মধ্যে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে ২১৫ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩ জন এবং বাকি ৩ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে।

এছাড়া জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১ হাজার ৭৯ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৪৬৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৭৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ২৩৪ জন। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৩ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হবার কোন খবর নেই।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে নতুন করে জেলা শহরেও শনাক্ত বাড়ছে। সবশেষ বুধবার করোনা প্রতিবেদনে একদিনে ৪৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ গত ২ জুন থেকে চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমান্তঘেঁষা দামুড়হুদা উপজেলার ১৬ গ্রামে ‘লকডাউন’ চলছে। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি গ্রামের প্রবেশমুখে বাঁশ ও কাঠ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে পাহারা বসানো হয়েছে।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

Loading