নাইজেরিয়ায় ১৫০ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ , মে ৩১, ২০২১

নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, নিজার প্রদেশের একটি মাদ্রাসা থেকে বন্দুকধারীরা অনেক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণের ঘটনা ওই এলাকায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এ খবর বিবিসি’র।

রোববার (৩০ মে) নিজার প্রদেশের তেগিনা শহরে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি দেশটিতে স্কুলে হওয়া হামলাগুলোর মধ্যে এটা সর্বশেষ ঘটনা।

এক শিক্ষক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, কমপক্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। তবে অন্য প্রতিবেদনগুলোতে এই সংখ্যা প্রায় ২০০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাইজার রাজ্য পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, রোববার দুপুর তিনটার দিকে মোটরসাইকেলের বন্দুকধারীরা তেগিনা শহরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল এবং সালিহু তানকো ইসলামিক বিদ্যালয়ে কিছু সংখ্যক শিশুকে অপহরণ করেছে।

মাদ্রাসাটির কর্তৃপক্ষ আবুবকর তেগিনা জানিয়েছেন যে, ১১ জন বাচ্চাকে বন্দুকধারীরা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ তারা খুবই ছোট।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দিস ডে নামে একটি খবরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, অস্ত্রধারীরা মোটরসাইকেলে করে পুরো শহর চষে বেড়ায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। মানুষজন তাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। স্কুলটিতে ছয় বছর থেকে শুরু করে ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ছেলে শিশুরা এক সাথে পড়তো।

কর্তৃপক্ষ বলছে যে, হামলায় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং এতে একজন মারা গেছে। এছাড়া গাড়িতে করে ঘুরছিলেন এমন বেশ কিছু মানুষকেও অপহরণ করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জামফারা স্টেটের জাঙ্গেবে এলাকার একটি আবাসিক স্কুল থেকে প্রায় ৩শ’ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল অস্ত্রধারীরা। তাদের বেশিরভাগকেই অবশ্য পরে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

নাইজেরিয়ায় থাকা বিবিসির প্রতিবেদক মায়েনি জোনস বলেন, গত কয়েক মাস ধরে মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।

তেগিনায় এই হামলা এমন দিনে ঘটলো যার আগের দিন প্রতিবেশী কাদুনা প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জনকে মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। গত ডিসেম্বর থেকে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে শিক্ষার্থী অপহরণের কমপক্ষে ৬টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮০০ এর বেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের অপহরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চিবক শহরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক হামলাগুলো সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর কাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Loading