ফরজ আলী, আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে

অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি কালিহাতীর ড্রেজারে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ , মে ২১, ২০২১

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলংজানী নদীর হাকিমপুর-ভাবলা এলাকায় সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কতিপয় বালু ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ বালু উত্তোলন। অভিযানের পরদিন থেকেই পুনরায় বালু ব্যবসায়ীরা সংঘঠিত হয়ে ৭টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ী, পাথালকান্দি সরকারি প্রাথমিক, বাজার ও স্থাপনা। কয়েক বছর যাবত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

সরেজমিনে জানা যায়, হাকিমপুরের ফরজ আলী , অছিম উদ্দিন, বাঁশী গ্রামের আব্দুল মান্নানসহ ১০-১২ জন প্রভাবশালী দীর্ঘদিন যাবত নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয়রা এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। ইতিপূর্বে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। স্থানীয়রা জানান, গত বছর উত্তোলনকৃত বালু নিলামে ক্রয়ের নাম করে ক্রয়কৃত বালুর ৪ গুণ মাটি নদীর তলদেশ কেটে বিক্রি করেছে। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে দিনের বেলায় মেশিন দুরে সরিয়ে নিলেও সন্ধ্যা থেকে পুনরোদ্দমে ড্রেজার দিয়ে চলে বালু উত্তোলন।

বালু ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার বসিয়েছিলাম। স্থানীয়দের বিরোধিতার কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা জানান, ইতিপূর্বেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালু ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Loading