যে কারণে আটকে গেল খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ , মে ৯, ২০২১

করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে তাকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অবেদন করলে আইনমন্ত্রণালয় অনুমতি দেয়নি।

গত ৫ মে রাত ৮টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিদেশে চিকিৎসা করতে যাওয়ার আবেদনটি করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর আবেদনটির আইনি দিক পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (০৯ মে) সকালে আইন সচিব গোলাম সারওয়ার জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের দেয়া মতামতের কপি সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। পরে সিদ্ধান্তের জন্য তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হতে পারে।

এরপর একইদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তার সাজা মওকুফ ছাড়া তাকে বিদেশ পাঠানো যাবে না। এ মতামত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন মঞ্জুর হবে না, এ সিদ্ধান্ত তার পরিবারকে জানিয়ে দেয়া হবে।

যেতে না দেয়ার কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলে আছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০১ এর ১ ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তার দণ্ডদেশ স্থগিত করে তার সুবিধামতো চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে তার ছোট ভাই বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। আমরা সেটা আইনমন্ত্রণায়ের মতামতের জন্য সেখানে পাঠিয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত আসছে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে যে চিকিৎসা সুযোগ দেয়া হয়েছে এটা দ্বিতীয়বার করা সম্ভব না। মানে তার সাজা আবার মওকুফ করে বিদেশ পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে শনিবার (০৮ মে) খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একটু ভালো। তৃতীয় দফা টেস্টে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

Loading