অভিযুক্তসহ আটক ৫

স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৯, ২০২১

সিলেটের জকিগঞ্জে দশম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় জড়িত প্রভাবশালী ৫ জনসহ মূল অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত একটানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা জকিগঞ্জ ইউনিয়নের রারাই গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওইদিনই তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জকিগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত রারাইগ্রামের আফতার হোসেনের ছেলে সালমান আহমদ (১৮), ঘটনা ধামাচাপায় জড়িত সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুল হক, রারাইগ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদ, একই গ্রামের ফরল মিয়া, আমলশীদ গ্রামের আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ ধামাচাপায় জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযান করে অভিযুক্তসহ ধামাচাপায় জড়িত প্রভাবশালীদের গ্রেপ্তার করে। এদিকে, নির্যাতিতার ২২ ধারায় জবানবন্দি নিতে পুলিশ তাকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করেছে।

নির্যাতিত মেয়ের পরিবার জানিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবার পরপরই অভিযান শুরু হয়। ঘটনার মূল জড়িতসহ প্রভাবশালীরাও আইনের আওতায় এসেছে। তারা পুলিশের তৎপরতায় সন্তুষ্ট।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, ইতোমধ্য পুলিশ অভিযান করে অভিযুক্তসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা একটানা অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘটনার আপোসের চেষ্টাকারী ৫ জনসহ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতিত মেয়ের পরিবার যাতে কোন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে পুলিশ লক্ষ্য রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল রাতে রারাই গ্রামের স্কুলপুড়য়া ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে পাশের বাড়ির সালমান আহমদ ধরে নিয়ে যায়। পরদিন ভোরে অসুস্থ অবস্থায় আবার ফেরত দিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নির্যাতিতার পরিবারকে ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি করতে চাপ সৃষ্টি করে মারধরসহ হয়রানি করেছিলেন।

Loading