পাবনা হাসপাতালে দফায় দফায় হামলা ভাংচুর

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১, ২০২১

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দালালরা বৃহস্পতিবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পে ও হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। এ সময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগতদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

কয়েক ঘণ্টা ধরে বহিরাগতদের তাণ্ডবে পুরো হাসপাতাল এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের রোগী, তাদের স্বজনসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে বলে তারা জানান।

আনসার সদস্যরা জানান, বুধবার রাতে হাসপাতালের মধ্যে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দালালরা হাসপাতালের রোগীদের সঙ্গে ঝামেলা করছিল। আনসার সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বহিরাগতদের বের হয়ে করে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা আনসার সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় বহিরাগতদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বহিরাগতরা দলবদ্ধভাবে হাসপাতালের আনসার ক্যাম্পসহ হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। বহিরাগতরা আনসার ক্যাম্পের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায় ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। দুপুর ২টা পর্যন্ত বহিরাগতদের এ তাণ্ডব চলে।

এ সময় আনসার সদস্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর জরুরিভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে বহিরাগতদের সব অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দালালরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

আনসারের পিসি (প্লাটুন কমান্ডার) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বহিরাগত দালালরা প্রতিনিয়ত রোগী এবং রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকে। রোগী নিয়ে টানাটানি করে থাকে। যখন তখন হাসপাতালের ভেতর তারা জোর করে প্রবেশ করতে চায়। বাধা দিলে নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি জানান, আনসার ক্যাম্পে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। সেখানে হামলা করাটা দুঃখজনক। তারপরও চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি আমরা।

সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পাবনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আইয়ুব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বহিরাগত সব অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে এর জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগিতা দরকার।

Loading