কৃষক হত্যা দিবসে: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মোঃ ইব্রাহিম হোসেন মোঃ ইব্রাহিম হোসেন প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ১৬, ২০২১ মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ১৫ মার্চ কৃষক হত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে মার্চ মাসব্যাপী ন্যায্যমূলে সারের দাবীতে আন্দোলনে বিএনপি জামাত জোট সরকারের গুলিতে নিহত শহীদ কৃষকদের স্মরণে কৃষক সমাবেশ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ মার্চ ২০২১ রোজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির পক্ষে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারলে বিএনপি নেত্রীর যেমন কোনোকিছু আসে যায় না, তেমনি বন্যায় মারা গেলেও তাদের কিছু আসে যায় না। বিএনপি নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন বন্যায় যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মারা যায়নি। তিনি বলেছিলেন দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকা ভালো, না হলে বিদেশ থেকে ভিক্ষা আসবে না। বিএনপির শাসনামল ও তাদের নেত্রী বক্তব্যেই স্পষ্ট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না তাদের। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সেই দেশকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেইদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেন, এই দেশের যত কলঙ্কজনক ঘটনা আছে তার সবই ঘটিয়েছে বিএনপি। যে কারণে শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের কাছে বিএনপির রাজনীতি হারিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, দেশের উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। এদেশের উন্নয়ন হলে তাদের গাত্রদাহ হয়। আপনারা দেশকে কোন জায়গায় রেখে গেছিলেন আর এখন কোথায় আছে তা চোখ, কান খুলে দেখুন। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন যে, করোনাকালীন বিগত এক বছরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মাঝে কৃষক লীগ অত্যন্ত যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা তাদের সফলতা কামনা করি। সরকারের ভূমি, কৃষি, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সহ কৃষি সংক্রান্ত জেলা উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি কমিটিতে কৃষক লীগের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাই। বিশেষ অতিথি মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, কৃষক হত্যার প্রতিবাদে কৃষক সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান করায় কৃষক লীগকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং রুহের মাগফিরা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন এই মাটিতে সোনার ফসল ফলায় কৃষক। সারের অভাবে ধান মরে, কৃষকের কাপালে হাত পড়ে। আজ সারের জন্য কৃষককে ঘুরতে হয় না, সার কৃষকের পিছনে ঘুরে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে খাদ্য শস্য ক্রয় কমিটিতে কৃষক প্রতিনিধি থানা ও উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। ধান-চাল ক্রয় কমিটিতে কোন এমপি’র প্রতিনিধি নয়, থাকবে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি। আপনারা সতর্কতার সাথে কমিটিতে নাম অন্তভূক্ত করবেন। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদন্নাহার লাইলী বলেন, শহীদ কৃষকদের কবর সংস্কার ও পাকাকরণ করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে ও কৃষকরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার ক্রয়ের জন্য ডিলারদের দোকানে দোকানে ধর্না দিয়ে সার না পেয়ে যে বিক্ষোভে ফুঁশে ওঠে কৃষক সমাজ, ক্রমান্বয়ে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলে, তৎকালীণ খালেদা-নিজামীর বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পুলিশ বাহিনী কৃষক আন্দোলন দমন করার নামে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করে। একটি স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষেই কৃষককে গুলি করে হত্যা করা সম্ভব। অপরদিকে তৎকালীণ বিরোধী দলীয় নেত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কৃষক লীগকে সাথে নিয়ে কৃষক হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন করেন এবং অচিরেই বিএনপি সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম এমপি বলেন, ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ বিএনপি সরকারের সময় সারাদেশে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়, সেই হত্যাকান্ডে যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে গাইবান্ধার শহীদ মমিন মন্ডল ও শহীদ কৃষক টুকু মিয়া, টাঙ্গাইলের শহীদ আতিকুর রহমান আতিক, জামালপুরে শহীদ কৃষক কবির ও শহীদ কৃষক আব্দুল খালেক, ময়মনসিংহে শহীদ কৃষক রফিকুল ইসলাম, নেত্রকোণায় শহীদ কৃষক ইন্তানন্দন কর্মকার ও কিশোরগঞ্জে শহীদ কৃষক মকসু মিয়া’র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমরা বাংলাদেশ কৃষক লীগ এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় অনুসন্ধান করে ১৫ মার্চে শহীদদের কবরস্থান সংস্কার ও বাধাই করে দিয়েছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করে ১৮ জন শহীদ কৃষকের পরিবারকে ১ টি বাড়ি করে বানিয়ে দেয়ার আজকের অতিথিদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমি অনুরোধ করছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম শান্তি, হোসনে আরা বেগম এমপি, আব্দুল লতিফ তারিন, কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, মোঃ আবুল হোসেন, আলহাজ্জ মাকসুদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. গাজী জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, নাজমুল ইসলাম পানু, হিজবুল বাহার রানা, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্জ নাজির মিয়া, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কৃষিবিদ তারিফ আনাম, মোশারফ হোসেন আলমগীর, নুরুল ইসলাম বাদশা, সৈয়দ শওকত হোসেন সানু, নিউ নিউ খেইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্জ আব্দুস সালাম বাবু, ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ্জ জাকিউদ্দিন আহম্মেদ রিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রব খান, ঢাকা জেলা উত্তর বৃক্ষরোপন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মহসিন করিম এবং সদস্য সচিব আহসান হাবিব। এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দে মধে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আলহাজ্জ আকবার আলী চৌধুরী, এমএ মালেক, কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন সুইট, এ্যাড. রেজাউল করিম হিরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. জহির উদ্দিন লিমন, শামীমা সুলতানা,লায়ন মোঃ আহসান হাবিব, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রাশেদ খান, আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী, ইসহাক আলী সরকার, রাশিদা চৌধুরী, খান মোঃ কামরুল ইসলাম লিটু, সামিউল বাসির সামি, এ্যাড. শেখ জামাল হোসেন মুন্না, জাতীয় কমিটির সদস্য খান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নকিব, মোতাহের হোসেন বাবুল প্রমূখ। শেয়ার G$R নিউজের নিচে রাজনীতি বিষয়: