যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ , মার্চ ২, ২০২১

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লেখানোয় বাংলাদেশ যে কৃতিত্ব অর্জন করেছে তা পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব এন্থেনিয় গুতেরেস। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এক বৈঠকে তিনি এমন মূল্যায়নের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর। সফরে নতুন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আলোচনা হয়েছে- বিনিয়োগ বাড়ানো, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনের বিষয়ে সহায়তা, ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ড গঠন, মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে উন্নয়ন সহায়তা সহ বেশ কিছু ইস্যুতে।

মিয়ানমারে সেনা শাসনের অবসান শেষে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরা নিয়ে উৎকন্ঠা ছিল দেশটির, কিন্তু বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে, রোহিঙ্গা বিষয়ে বিশেষ দূত নিয়োগের।

হোয়াইট হাউস নিরাপত্তা ইস্যুতে আলাপের আগ্রহ দেখালেও উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনে ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ড গঠনে পুনরায় একমত হয়েছে দুই দেশ। আর, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা ও ওয়ার্কপার্মিট দেবার অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, হোয়াইট হাউজের একজন ডেপুটি আমাকে ফোন করেছিলেন। উনি বললেন যে, তারা নিরাপত্তা ইস্যুতে একটা প্রোগ্রাম করতে চান। আমি বললাম, আমরা এখন আমাদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত।

সফরে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কথা হয়েছে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের উঠে আসা নিয়ে।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার পুরো কৃতিত্বই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কত কষ্ট করে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেছি। এটা শুধু সম্ভব হয়েছে সরকারের নীতি ও দৃঢ়তার ফলে। এর সাথে আমাদের যেমন চ্যালেঞ্জও আসবে সেই সাথে সুবিধাও আছে, দুটোই আছে।

তবে, সফরে আল জাজিরার বিতর্কিত রিপোর্ট নিয়ে মার্কিন প্রশাসন কিংবা জাতিসংঘের কোথাও কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর, কারাগারে কায়েদীর মৃত্যু নিয়ে কূটনৈতিকদের হৈ চৈ করার কোন কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরার কথাটা প্রতিদিনের, তারপর সময়, বাংলাদেশের টিভির প্রতিনিধিরা যখন আমার সঙ্গে আলাপ করেন তখন ওনারা এটি তুলেছিলেন। আর তুলেছে ভয়েস অব আমেরিকা। বাকী কোন লোক এই সম্পর্কে প্রশ্ন করেনি, আলাপও করেনি।

Loading