মিয়ানমারের শহরগুলোতে সেনা টহল

প্রকাশিত: ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটকের পর রাজধানী নেপিডো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সেনা টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বড় শহরগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ‘টেকনিক্যাল সমস্যার’ কারণে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের

বিবিসিরি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি জনথন হেড জানিয়েছেন, ‌‘মনে হচ্ছে এটি একটি পূর্ণ সামরিক অভ্যুত্থান।’

রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে আলজাজিরাকে আলি ফোউল জানিয়েছেন, ‘মনে হচ্ছে এটি সামরিক অভ্যুত্থানের শুরু। রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিখ্যাত রাজনৈতিক কর্মীদেরও আটক করা হয়েছে। মোবাইল এবং ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিওর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।’

মিয়ানমার রেডিও এবং টেলিভিশন তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ‘যোগাযোগ সমস্যার কারণে এমআরটিভি এবং রেডিওর নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তবে এ অবস্থায় দেশটির ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমি জনগণকে রুঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া না জানানোর অনুরোধ করব। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে।’

সোমবার সকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের আটক করা হয়। সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩% আসন পায়। যাকে মিস সু চির বেসামরিক সরকারের প্রতি সর্বসাধারণের অনুমোদন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় বার নির্বাচন ছিল মাত্র।

তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তারা সুপ্রিম কোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ইলেক্টোরাল কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

সামরিক বাহিনীর নির্বাচনে কারচুপির এই অভিযোগ তোলার পর থেকে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা ছিল।

Loading