তুরস্কের ‘বিপ’ অ্যাপে ঝুঁকছে বাংলাদেশ, যা জানা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ১৬, ২০২১
???????? ‘???’ ?????? ?????? ????????, ?? ???? ???????

প্রযুক্তির এই সময়ে হঠাৎ করেই আলোচনায় তুরস্কের তৈরি ভিডিও কলিং ও মেসেজিং অ্যাপ ‘বিপ’। বিভিন্ন তথ্য ও গোপনীয়তার জন্য যখন অন্য হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজিং আলোচনায় ও ব্যবহারকারীরা উদ্বেগে, ঠিক সেই মুহূর্তেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই বিপ অ্যাপ।
গুগল প্লে স্টোর থেকে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ডাউনলোডের র‌্যাংকিং বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে, বিপ’র ডাউনলোড মাত্র একদিনের ব্যবধানে ৯২ ধাপ এগিয়ে গিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে। দেশে দীর্ঘ দিন ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অন্যান্য ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোকে পেছনে ফেলে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে তুরস্কের তৈরি ‘বিপ’ অ্যাপটি।
বিপ অ্যাপ সম্পর্কে : অ্যাপটির পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অ্যাপটি অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড অর্থাৎ ভয়েস কল বা মেসেজ আদান-প্রদানে গোপনীয়তা থাকবে এবং অন্য কেউ হ্যাক করতে পারবে না। এটি অন্যান্য অ্যাপের মতো ভিডিও কলিং ও ম্যাসেজিংয়ের মতোই কাজ করে।আইওএস চালিত আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড চালিত মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করা যায় অ্যাপটি। সেই সঙ্গে যারা ডেস্কটপে ব্যবহার করতে চান তারাও ব্যবহার করতে পারবেন অ্যাপটি।
তুরস্কের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ২০১৩ সালে মোবাইল ফোন কোম্পানি টার্কসেল উদ্ভাবন করে ‘বিপ’ অ্যাপটি। বিশ্বের ১৯২টি দেশ ব্যবহার করছে অ্যাপটি এবং তাদের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের। সাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত অ্যাপটি বেশি ডাউনলোড হয়েছে জার্মানিতে এবং সেখানেই এর ব্যবহার বেশি। এছাড়াও রয়েছে ফ্রান্স এবং ইউক্রেন। তবে বর্তমানে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে অ্যাপটির।
গোপনীয়তা : অ্যাপটির মাধ্যমে অডিও-ভিডিও কল, মেসেজ, ছবি-ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এখানে সিক্রেট চ্যাটের সুবিধা রয়েছে। কোনো ব্যবহারকারী চাইলে নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজটি মুছে দিতে চাইলে সময় সেট করা যাবে। তুরস্কের ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি মেসেজিং অ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের গোপনীয়তা-নীতি পরিবর্তন করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ বার ডাউনলোড হচ্ছে ‘বিপ’ অ্যাপটি।
এ পর্যন্ত বিশ্বে ৬ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। শিগগিরই অ্যাপটি ১০ কোটি বার ডাউনলোড ছাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করছেন টার্কসেল’র কর্মকর্তারা।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Loading