বঙ্গবন্ধুর প্রেমে ইতালিয়ান সুন্দরী!

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ১১, ২০২০

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে যিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি আর কেউ নন, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনই একজন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কস্বরূপ। তবে বাংলাদেশের বাইরেও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন অনেকেই। সেরকম একজন তরুণী জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে তিনি কতটা ভালোবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়েন ইতালীয়ান এক সুন্দরী তরুণী। নিজের দেশ ছেড়ে আসেন বাংলায়। প্রেমের টানে শিখেছেন বাংলা ভাষাও। সেই তরুণী নিজেই তার প্রেমের কথা জানান। তিনি কিভাবে বাংলায় এসেছেন, কিভাবে বাংলা শিখেছেন সবই তিনি একটি বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি এমন ভিডিও একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়।

বক্তব্যে ইতালীয়ান ওই তরুণী জানান, প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধুকে ঠিকমত চিনতেন না, জানতেন না, এমনকি ঠিকমত বাংলাও জানতেন না। পরে তিনি বাংলাদেশে আসেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারেন। শুরুতে দু একটা বাংলা উচ্চারণ করার পর তার বাংলা শেখার আগ্রহ বেড়ে যায়। তখন তিনি জানতে পারেন যে ২০১২ সালে শেখ মুজিবরের আত্মজীবনী নিয়ে একটা বই বের হয়েছে। সেটা তিনি পড়া শুরু করেন। কিন্তু তখনও তিনি খুব বেশি বাংলা পড়তে পারতেন না। পরবর্তীতে তিনি অনেক চেষ্টা করে বাংলা ভাষা শেখেন।

সবার মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা শোনেন, কিন্তু নতুন প্রজন্মের মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা শুনতে না পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক বাঙালিকে দেখেছি তাদের মুখে মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম, কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কাছে আমি বঙ্গবন্ধুর নাম শুনতে পাই না। তখন আমার মনে হয় তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়েনি। ইতিহাস যেটা হয়েছে আর যেটার কারণে হয়েছে সেটা তো সবার পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। যারা যুদ্ধ করেছেন তাদের ভেতর অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। তাদের থেকেও জানা যায়। শুধু বাঙালি বলে ইমোশন দেখালে তো আর হবে না।’

ওই তরুণী ফেসবুকে বঙ্গবন্ধুর একটা ছবি আপলোড করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর সাথে ছবি দিয়ে বাংলাদেশের একজন আমাকে একটি ছবি পাঠায় সেটা আমি আমার ফেসবুকে আপলোড করলে একজন বলে, ও তুমি আওয়ামী লীগ করো। তখন আমি তাকে বলি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের কোন সম্পত্তি নয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ। কারণ তিনি ছোট একটা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের জন্য উদ্ধুদ্ধ করেছেন এবং তাদেরকে একটা স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এটা তো ভুলে যাওয়া কথা না। তিনি অনেকের কাছে হিরো, তার আগে তিনি একজন মানুষ। মানুষ হিসেবে তার দু একটা ভুল হতেই পারে। কোন মানুষ তো শতভাগ সঠিক হতে পারে না। যদি হতো তাহলে তো সে দেবতা হয়ে যেত। যেহেতু সে দেবতা হয়নি তাই তার কিছু ভুল হবেই। আমি মনে করি এই ভালো খারাপ মিলে তার যে গুণ ছিল আমাদের ধরে রাখা উচিত।’

ওই তরুণী প্রথম বাংলাদেশে আসেন ২০০৪ সালে। ওই সময় বাংলাদেশের স্কুলে ইতিহাস পড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে সময় ইতিহাস একটু এদিক ওদিক ছিল। তখন আমি অবাক হয় গেলাম একটা ইতিহাস কিভাবে অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। তখন আমি পুরো বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। এতো বড় একটা ইতিহাস কিভাবে অস্বীকার করা যায়।’

বক্তব্যের শেষে পর্যায়ে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু তার কাছে সবচেয়ে সেরা। তিনি যদি সে সময় থাকতেন তাহলে নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়ে যেতেন। তিনি আরও জানান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা বই লেখার গবেষণা করছেন তিনি। ## সময় সংবাদ

Loading