ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৫ লাখ, মৃত্যু আরও ৫০১

প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ২, ২০২০

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ ভারতে সুস্থতা বাড়ায় আরও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। তবে থেমে নেই প্রাণহানি। গত একদিনে ৩৬ হাজারের বেশি ভারতীয়র করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে ৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে।  

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ হাজার ৬০৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৯৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪১৩ জন।

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৫০১ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ১২২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি।

বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।

দেশটির অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে কমেছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে দিল্লি এবং কেরলে তা বেশি থাকার পর গত ক’দিনে একটু করে কমছে। বুধবার কেরলে ৫ হাজার পেরলেও দিল্লিতে তা ৪ হাজার। মহারাষ্ট্রেও দৈনিক সংক্রমণ কমে ৫ হাজারের নীচে। অন্যদিকে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে আক্রান্ত।

পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আক্রান্তের মঙ্গলবারের থেকে আজ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩১৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এ রাজ্যে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৯ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ১০২ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৮ হাজার ৪৭৬ জনের।

অন্যদিকে, দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৭ হাজার ২৪৬ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (৯,২৬০), পশ্চিমবঙ্গ (৮,৪৭৬), উত্তরপ্রদেশ (৭,৭৮৮), অন্ধ্রপ্রদেশ (৬,৯৯৬)। পাঞ্জাব, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায়ও ৪৩ হাজার ৬২ জন রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৮৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

Loading