মিয়ানমারে নির্বাচন আজ, রোহিঙ্গারা বঞ্চিত

প্রকাশিত: ৯:১০ পূর্বাহ্ণ , নভেম্বর ৮, ২০২০

মিয়ানমারে সেনাশাসনের অবসানের পর আজ রোববার দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে নিপীড়িত রোহিঙ্গাসহ প্রায় ২৬ লাখ সংখ্যালঘুকে ভোটাধিকারবঞ্চিত করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন।

ধারণা করা হচ্ছে, অং সান সু চির দল এনএলডি আবারও ক্ষমতায় আসবে। গত বছর হেগের আদালতে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’র অভিযোগ প্রশ্নে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পর দেশের ভেতরে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। তবে জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ক্রমাগত বাড়ছে অনীহা, বাড়ছে ক্ষোভ।

নোবেলজয়ী অং সান সু চি ও তার দল এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করে। ৫০ বছর ধরে সামরিক শাসনে থাকার পর দেশটি পায় প্রথম বেসামরিক সরকার। মিয়ানমারের মানুষ আশা করছিল, দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে রূপান্তরের এ ধারাকে সু চি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পাঁচ বছর পর সেখানে সু চির জনপ্রিয়তা একই রকম থেকে গেছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি এখন আর গণতন্ত্রের আদর্শ বলে বিবেচিত হন না। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর চালানো নিপীড়নের ব্যাপারে তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সুচিও রোহিঙ্গাদের পক্ষে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেননি। বরং গণহত্যাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতেও কোনো উদ্যোগ নেননি। উল্টো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয়ও অস্বীকার করে আসছেন সুচি।

সূত্র : সিএনএন ও বিবিসি

Loading