ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ শ্রমিককে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১, ২০২০

ভিয়েতনাম থেকে ফেরত ৮১ জন অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে সকালে এই শ্রমিকেরা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখন পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে নেয়।মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তুরাগ থানার পুলিশ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানো এই শ্রমিকেরা গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে দেশে আসেন। বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার পর থেকে দফায় দফায় তারা জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার দু’দিন আগে থেকে তারা যেখানে ছিলেন, সেখানে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছিলো।জানা গেছে, পুলিশ সেখানে এসে ভিয়েতনাম প্রবাসীদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করে।

অভিবাসী শ্রমিক মো. আলমগীর গনমাধ্যমকে বলেন, গত ৩০ আগস্ট তাদের আদালতে নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ। কেন নেওয়া হবে, এর কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি তারা।

দালালেরা ভিয়েতনামে সোফা ফ্যাক্টরিতে কাজ দেবেন বলে প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা নেন। কিন্তু সেই কাজ তারা পাননি। সেখানে পৌঁছানোর পর দু-চারটে ছোটখাটো কাজ দিলেও কোনোটিই দীর্ঘমেয়াদী ছিল না। একপর্যায়ে তিনিসহ আরও অনেকে পুরোপুরি কর্মহীন হয়ে পড়েন। তারা আশা করছিলেন, প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে মধ্য জুলাইতে এই শ্রমিকেরা ভিয়েতনামের ভুং তাও থেকে এক হাজার ৬৭৭ কিলোমিটার দূরের হ্যানয়ে এসে সেখানকার বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিয়েতনাম সরকার পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসমাউল হুসনা গণমাধ্যমকে বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই ব্যক্তিরা ভিয়েতনামে কারাগারে ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল ভিয়েতনাম থেকে।

দালালের খপ্পরে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে ভিয়েতনামে যান।

শ্রমিকেরা বলছেন, তারা কোনো অন্যায় করেননি। পুলিশি তৎপরতার কারণও তারা বুঝতে পারছেন না।

Loading