এখনও পানিবন্দী কয়েক লাখ বানভাসি

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ , জুলাই ৩০, ২০২০

দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বন্যাকবলিত অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। দুর্গত এসব এলাকায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।  

অন্যদিকে, বানের পানিতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তীব্র স্রোতে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু কিছু স্থানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখনও পানিবন্দী রয়েছে। পানিবাহিত রোগ নিয়ে বিপাকে বানভাসিরা। ত্রাণ বিতরণ হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

গাইবান্ধায় দুদফা বন্যায় গাইবান্ধা চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে। নদ-নদীর পানি কমেনি। দীর্ঘ বন্যায় মানুষ পড়েছে খাদ্য সংকটে।

ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলে যমুনাসহ অন্যান্য নদীর পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নওগা এলাকায় পুংলী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

পার্শ্ববর্তী জেলা সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত এক মাসের অধিক সময় ধরে বন্যার পানি থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নদী পাড়ের চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, সদর, কাজিপুর উপজেলার বানভাসি সাড়ে ৩ লাখ মানুষ।

শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানির তোড়ে শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গেছে। এতে ঢাকা থেকে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদ-নদীর পানি কমলেও এখনও বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় শহরের আলীয়াবাদ, বিলমামুদপুর, সাদিপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৭ উপজেলার পানিবন্দী প্রায় ২ লাখ মানুষ।

এদিকে রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বাড়তে থাকায় কালিয়াকৈর বাজার, রাস্তাঘাটসহ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা ও মাছের খামার।

Loading