ওয়ার্কশপে হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ৩১, ২০২৪

ওয়ার্কশপের কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদেশে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে।

একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় শিশু হাসান নাহিদের হাত কেটে যায়। পরে তার ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়। শিশুটিকে বাঁচাতে তার চিকিৎসায় ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তার বাবার দাবি।

নাঈম হাসানের বয়স তখন ১০ বছর, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছিল। তার বাবা আনোয়ার হোসেনের পেশা ছিল জুতার ব্যবসা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ে আনোয়ার হোসেন কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় সংসারের চাপ সামলাতে নাঈমকে তার মা–বাবা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজে দেন।

এই ওয়ার্কশপের কাজ করতে গিয়েই তার ডান হাতটি মেশিনে ঢুকে যায়। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় শিশু নাঈম হাসানের ডান হাতটি।

Loading