মাদ্রাসার বাথরুমে শিশুর ঝুুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ২, ২০২২

নরসিংদীর মাধবদী কুঁড়েরপাড় গ্রামের জামিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার বাথরুম থেকে মাইশা নামে ১০ বছরের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে শিক্ষকরা। মৃত শিশু ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষকরা মাদ্রাসার বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মাইশা মাধবদী ভগীরথপুর গ্রামের মো. নেছার উদ্দিনের মেয়ে।

জামিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামীম মুফতি আসানউল্লাহ বলেন, আসরের নামাজের সময় ছাত্রীরা এস্তেঞ্জা করতে গিয়ে মাইশাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দায়িত্বরত মাদ্রাসার হুজুর ও খাদেম আমাকে ঘটনাটি জানালে গিয়ে দেখি এ অবস্থা। পরে আমরা মাইশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সামছুল আলম বকুল বলেন, আমি সেখেরচর হাটে ছিলাম। শিক্ষকরা আমাকে ফোন দিয়ে জানায় একজন ছাত্রীকে মাদ্রাসার বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছে। পরে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। তবে ঘটনাটি কীভাবে হলো আমরা এখনও বলতে পারছি না।

নিহত মাইশার চাচা মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন বলেন, মাইশার বাবা নেছার উদ্দিন সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে মেয়েকে নাস্তা করিয়ে রেখে আসে। পরে দুপুরে পারিবারিক একটি দাওয়াতে মাইশার পরিবারসহ আমরা আত্মীয়র বাড়িতে যাই। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে মাদ্রাসা থেকে কল করে জানানো হয় আপনার মেয়ে অসুস্থ। তাকে আমরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছি আপনারা আসেন। পরে আমার হাসপাতালে গিয়ে মাইশাকে মৃত অবস্থায় পাই। চিকিৎসক আমাদের জানায় মাইশাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ১০ বছরের শিশু বাচ্চা কীভাবে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারে? নিশ্চয় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত মাইশার মা ও বাবা বলেন, আমাদের মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাদ্রাসার হুজুরই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমি এ খুনের বিচার চাই।

রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ ও মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।

Loading