পার্বতীপুরে ভোটের মাঠে ব্যস্ত আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ

মনজুরুল হক মঞ্জু মনজুরুল হক মঞ্জু

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ৭, ২০২১

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে হরিরামপুর ইউনিয়নকে একটি আর্দশ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যেতে চান আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ। তিনি গত ২৮ অক্টোবর তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের গোপন ভোটে হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হন। বিগত ২০১১ সালেও তিনি হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন ও বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন সদস্য। হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সবচেয়ে প্রিয়মুখ এখন মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ। পার্বতীপুরের উন্নয়নের পথিকৃৎ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি সূচিত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ দলীয় মনোনয়ন লাভের পরদিন থেকে হরিরামপুর ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নবাসি তারমত একজন সু-শিক্ষিত ভদ্র, ন¤্র ও সৎ মানুষকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে পেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বেজায় খুশি।
ইউনিয়নের সাধারন মানুষের বক্তব্য, মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে, এলাকাবাসির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারবে এবং ইউনিয়নবাসী সঠিকভাবে সরকারি সহযোগিতা এবং সেবা পাবে। করোনাকালীন সময়ে তিনি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্য সামগ্রী এবং বিগত রমজান মাসে ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটে গেছেন। অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে এলাকার ভোটারদের কাছে এবারও সবার কাছে এক জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছে মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাবা মফিজ উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। পরে ১৯৭৭ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত বরন করেন। পরবর্তীতে তার জেঠাতো ভাই আবু তাহের ১৯৯২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোহাগ ২০১১ সালে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ উপজেলার সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরই মধ্যে আগামী ইউপি নির্বাচন নিয়ে হরিরামপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চা-দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি পাড়া-মহল্লয় চলছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের অনেক ভোটার বলেছেন, মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, তার বাবা, চাচাতো ভাই এক সময় এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আগামী ইউপি নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়া সম্ভাবনাই বেশি।
এব্যাপারে তার দেয়া বক্তব্যে মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন- ভোটে বিজয়ী হলে হরিরামপুর ইউনিয়নকে একটি মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত, আদর্শ জনপদে পরিনত করবো। ছোট খাটো অপরাধের ঘটনায় লোকজনকে যাতে থানা পুলিশ কিংবা আদালতের শরনাপন্ন হতে না হয় সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত গ্রাম্যআদালতে কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ‘আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই কমিটি’ পৌর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গোপন ব্যালটে তৃণমুল পর্যায়ে হরিরামপুর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ৩৭৯ সদস্য গোপন ব্যালটে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৩৪৬ জন ভোট পেয়ে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হন মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ। তিনি অপর তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম, জুলফিকার আলী ও মাহবুব চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাস্ত করে বিজয়ী হন।
কেবল মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগই নয়, তফসীল ঘোষনার আগেই আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সম্ভাব্য অন্যান্য চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা সবাই পাড়া, মহল্লা ও হাটে-বাজারে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

Loading