বিদ্রোহী প্রার্থী হলে শাস্তি অনিবার্য

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ৪, ২০২১

বিদ্রোহী প্রার্থী বেড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে এদের সংখ্যা ৬শ’ ৯১। বিদ্রোহীদের শাস্তি অনিবার্য- বলেছেন মাহবুবুল আলম হানিফ।

শীতের প্রারম্ভে ভোটের উৎসব। তাও আবার তৃণমূলে। ১১ই নভেম্বর শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দলীয় প্রতীক না পেলেও মাঠে আছেন ৬শ’ ৯১ জন বিদ্রোহী। যাদের বেশিরভাগই গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের কেউ কেউ আবার স্থানীয় এমপির নিকটাত্মীয়। আছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাও।

এসব প্রার্থীদের দাবি, কেন্দ্র ব্যর্থ হয়েছে যোগ্য বাছাইয়ে। শাস্তির খড়গ মাথায় মেনেই তাই মাঠে সরব তারা।

বিদ্রোহী প্রার্থীরা জানান, কি কারণে একদিন আগে মনোনয়ন থেকে পিছিয়ে পড়েছি সেটা আমি জানি না। তবে এবছর জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দলের পদ চলে যাবে এই আশঙ্কা নিয়ে আমি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগণের সাথে থেকে মৃত্যুবরণ করতে চাই।

ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সম্পাদক বললেন, নির্বাচনে নেই বিএনপি। বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে তারা চায় পরিবেশ নষ্ট করতে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির যেহেতু অনেক জায়গায় জয়লাভের অবস্থান নেই। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তারা অনেক সময় বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাঁধে সওয়ার হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের শাস্তির কথাও বলেন তিনি।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “ইতিপূর্বে সতর্ক করার পরও এবার দেখছি অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন। আসলে ইউনিয়ন পরিষদে মাঠ পর্যায়ে হয়তো দীর্ঘদিন ধরে যারা প্রস্তুতি নেন, অনেক আশা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। মনোনয়ন না পাওয়ায় তাদের মধ্যে অনেক সময় হতাশা কাজ করে, সেখান থেকে অনেকে দাঁড়িয়ে যান। যারা নির্দেশ মানবে না, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গে তাদের শাস্তি পেতে হবে।”

দ্বিতীয় ধাপে ১১৫ উপজেলার ৮শ’ ৪৬ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

Loading