বিশ্ব প্রবীণ দিবস—

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ১, ২০২১

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৯০ সালের ১৪ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার সিদ্ধান্তক্রমে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর ১অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হচ্ছে।পরবর্তীতে জাতিসংঘ ১৯৯৯সালকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক প্রবীণ বর্ষ।

১৯৮২ সালে জাতিসংঘের ও সমর্থিত প্রবীণ সংক্রান্ত ভিয়েনা আন্তর্জাতিক কর্ম পরিকল্পনা অনুসরণে এই দিবস ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাপী প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি সচেতনতা সহ তাদের মানবিক ও সম্মানজনক অধিকার সংবরণই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র দিবসটি পালিত হয়।

প্রবীণত্ব মানব জীবনের শেষ অধ্যায়।প্রবীণরা স্বভাবতঃই অন্যান্যদের মতো মানবিক ও মৌলিক অধিকার প্রাপ্য।বরং শ্বাশত ভাবে অন্যান্যদের চেয়ে বেশি মর্যাদা ও সুযোগ -সুবিধা প্রাপ্তির দাবিদার।তারা পুরোটা জীবন ধরে ও কর্মময় তৎপরতা দিয়ে নিজ নিজ পরিবার গঠনে ও উন্নয়নে এবং সমাজ ও জাতির সার্বিক অগ্রগতি প্রক্রিয়ায় স্ব-স্ব পেশায় অক্লান্ত ভাবে কাজ করেন।জাতীয় জীবনেও রাখেন তারা নানামুখি অবদান। কিন্তু দুঃখের বিষয় জীবনের শেষ দিনগুলোতে তারা হয়ে পড়েনঅসহায়,গুরুত্বহীন, সমাজ ও সংসারের বোঝা, অবহেলার পাত্র। মুখোমুখি হন নানাবিধ আর্থ-সামাজিক স্বাস্থ্যগত ও মানসিক সমস্যার।নিদারুণভাবে বঞ্চিত হন তারা তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে।বিষময় হয়ে উঠে প্রবীণের জীবনের শেষ পর্ব।

এই অবস্হা রীতিমতো অবিচার। এ থেকে উত্তরণ প্রয়োজন। প্রয়োজন মানব জীবনের শেষ অধ্যায়কে সফল, সার্থক ও স্বাচ্ছন্দ্য করা।নতুবা প্রবীণরা তাদের জীবনের শেষ অধ্যায়কে অভিশপ্ত মনে করে বিদায় নেবে এই পৃথিবী থেকে।এটা তার উত্তরসূরী সমাজের ওপর ফেলবে অভিশাপের ছায়া।

Loading