বেনাপোল পোর্ট থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্টিত

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

“দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে বেনাপোল পোর্ট থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্টিত হয়েছে৷

বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী বেনাপোল পোর্ট থানার নতুন ভবনের ২য় তলার হলরুমে ওপেন হাউজ ডে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়াকর্মী ও সাধারন জনগণের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।`

এ সময় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্হিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন-অর্থ)
মোঃ নূর ই-আলম সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত ৷ সঞ্চালনায় ছিলেন এসআই মোঃ আমির ,সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন এসআই শঙ্কর কুমার ও এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ৷

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী,
শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, কমিউনিটি পুলিশিং
বেনাপোল, পুটখালী, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান,বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়রসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বৃন্দ৷

আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠিত ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র নির্দেশনায় স্বাগতিক বক্তব্যে ওসি সুমন ভক্ত উপস্থিত সাধারণদেরকে অনুষ্ঠান উন্মুক্ত করে দেন পুলিশের কর্মকান্ডে সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে নির্ভয়ে আলোচনার জন্য। আলোচনায় বক্তারা উত্ত্যক্তের ঘটনা, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ এবং মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে পোর্টথানার ভুমিকার ভুয়ষি প্রশংসা করেন।

এ ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে বন্দর এলাকায় যানজট নিরসণ,এলাকার কিছু সমস্যা এবং অন্যান্য অভিযোগ,অনুযোগের বিষয়ে বাস্তব মূখি পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশের করণীয় নির্দেশনা দেন প্রধান অতিথি নুর-ই-আলম সিদ্দিকি।

উন্মোক্ত এ আলোচনায় প্রধান অতিথি যশোর জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার স্যার,এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে “ওপেন হাউস ডে” র শুভেচ্ছা জানিয়ে এ বক্তব্যে বলেন-“ওপেন হাউস ডে”র মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পরামর্শে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। দেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ মূলমন্ত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন সারাদেশে প্রতি থানায় ‘ওপেন হাউস ডে’ পালন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সাথে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “এতে করে সাধারণ মানুষ থানা থেকে কেমন সেবা পাচ্ছেন, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কেন ঘটছে তা আমরা জানতে পারি। সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এমন সহযোগীতার অবস্থা চলতে থাকলে সীমান্ত এলাকায় অপরাধের সমস্ত বিষয় দুরকরা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন”।

Loading