পটিয়ায় চলতি বছরে ৮ খুন এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ২৬, ২০২২ চট্টগ্রামের পটিয়ার অবস্থা খুবই বিপদজনক হয়ে উঠেছে। সামাজিক অবক্ষয়ে গত ১০ মাসে খুন হয়েছে ৮ টি এর মধ্যে লোভের বশীভূত হয়ে খুনের সংখ্যা বেশী। প্রভাব বিস্তার,পূর্বশত্রুতার জের,ক্ষোভ, পরকীয়া,ইয়াবা ও মাদক,পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের নিপীড়ন এই নিয়ে পটিয়ার সাধারন জনগণ উদ্বিগ্ন,উৎকণ্ঠা, আতঙ্কে রয়েছে।কখন কি দুঃসংবাদ শুনতে পাই।নৈতিক অবক্ষয় ও লোভের ফলে কোন মা বাবা সন্তান হারা , স্ত্রী যখন স্বামী হারা। তাদের আহাজারিতে পটিয়ার চারদিকের পরিবেশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে । সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা পটিয়ার মানুষের হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেছে। জাপা নেতা পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলমের বড় ছেলে লোভের বশীভূত হয়ে নিজের আপন মাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর চেয়ে জঘন্য ঘৃণিত কাজ আর কি হতে পারে? যা পটিয়ার ইতিহাসে বিরল ঘটনা। কতটুকু মূল্যবোধ হারালে নৈতিক অবক্ষয় হলে মানুষ এত নিচে নামতে পারে।১১ ফেব্রুয়ারি জিরি গ্রামের টেক্সি চালক নুরুল আলম (৩৪) কে সিএনজি ছিনিয়ে নিতে খুন।২২ এপ্রিল কাশিয়াইশ ইউনিয়ন এর বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই মোঃ সোহেল (৩৫) কে ইউপি নির্বাচনের জের ধরে খুন।১৬ আগষ্ট পৌর সদরের সবজার পাড়ার জেসমিন আক্তার (৫০) কে টাকার জন্য গুলি করে খুন। ৬ সেপ্টেম্বর লড়িহারা গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধর (৪২) কে স্বর্ণ ও টাকার লোভে খুন।১৭ সেপ্টেম্বর জিরি গ্রামের মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৯) বউয়ের পরকীয়ার জেরে খুন।২২ সেপ্টেম্বর মুজাফরাবাদ গ্রামের পোশাক শ্রমিক উজ্জ্বল সেন (২৯) দুর্বৃত্তদের হাতে খুন ।২ অক্টোবর পিংগালা গ্রামের দোকান কর্মচারী মোঃ ফাহিম (১৮) নৌকা বাধাঁকে কেন্দ্র করে খুন ।৭ অক্টোবর ফকির পাড়া গ্রামের কৃষক আনু মিয়া (৪৫) পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন।খুনের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পটিয়া সার্কেল মোঃ তারিক রহমান বলেন ৬ টি মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারপূর্বক ১৬৪ দারায় জবানবন্দি নিতে সক্ষম হয়েছেন পটিয়া থানা পুলিশ। আশা করছি তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হবে। এছাড়া পোষাক শ্রমিক উজ্জ্বল সেন ও কৃষক আনু মিয়ার খুনের ঘটনায় আসামিদের ধরার জন্য বিশেষ টিম নিরলস ভাবে কাজ করছে অতি শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারন জনগনের সাথে কথা বলে জানা য়ায়। পটিয়ার মানুষ উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠা থাকলে ও পটিয়া থানা পুলিশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রায় খুনিদের ধরতে সক্ষম হয়েছে তাই তারা প্রশংসার দাবিদার। কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু করার থাকে না যেমন পরকীয়া, লোভ এসব ক্ষেত্রে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে শেয়ার অন্যান্যবিষয়: