সিনহা হত্যা

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নিচ্ছে তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৬, ২০২০

কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে আজ রোববার গণশুনানি শরু করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জের কার্যালয়ে শুরু হয় এই গণশুনানি। এরইমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেয়া শুরু করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এতে উপস্থিত রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত সরকারি তদন্ত কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলীসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এর আগে গত ১২ আগস্ট একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার তদন্তে গত ২ আগস্ট কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলিকে প্রধান এবং পুলিশ সুপারের একজন প্রতিনিধি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ও সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরদিন ৩ আগস্ট কমিটি পুনর্গঠন করে চার সদস্য বিশিষ্ট করা হয়। এতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করা হয়। আর কমিটির সদস্য রাখা হয়, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এর একজন প্রতিনিধি এবং সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির একজন প্রতিনিধি।
এদিকে এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং দুই নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়া আরও সাতজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

Loading