নোয়াখালীতে চাকুরি ও বিয়ের প্রলোভনে এক যুবতীকে দীর্ঘ ৯ মাস ধর্ষণ মোঃইফতেখাইরুল আলম মোঃইফতেখাইরুল আলম নোয়াখালী প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ১০, ২০২১ বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এক যুবতী(২৪)কে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় পিতা ও পুএের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার যুবতী বাদী হয়ে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম সহ আরও ২/৩ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ জানান,গত ৭ ই (জানুয়ারি)বৃহস্পতিবার ভিকটিম নিজে থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম(৫০)কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে আসামি সিরাজুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে বিভিন্ন ভাবে অজ্ঞাত নামা লোকের মাধ্যমে মামলার বাদী (ভিকটিম)কে হুমকি দুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,গত একেই জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখে(ভিকটিম)বাড়ীর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য স্থানীয় একলাশপুর আসলে। এ সময় সেখানে ২/৩জন অজ্ঞাতনামা লোক এসে তার সাথে বিভিন্ন অজুহাতে কথা বলেন। বাদীনির মামলার খোঁজ খবর জানার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আসামী সিরাজুল ইসলাম জামিনে চলে এসেছে বলেও তারা জানান। পরে লোকগুলি ভিকটিম কে বলেন, আসামি সিরাজুল ইসলামের টাকার কাছে তুমি কিছুইনা।হুমকি সরুপ বাদীনিকে বলে তুমি বাহিরে চলাচল করতে সাবধানে করিও। সে যে কোন সময়ে তোমাকে যেখানে পাবে মারধর করবে এবং কি তোমাকে প্রাণে মারার ও আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসিকদার জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আমানতপুর এলাকা মৃত মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম। তিনি উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ঐ যুবতীকে চাকরি দেওয়ার কথা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৮-৯মাস যাবত নোয়াখালী এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে।দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও লম্পট সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে চাকুরি বা বিয়ে করেনি।পরে ভিকটিম বিয়ের জন্য সিরাজুল ইসলামকে চাপ দিলে সে নানা ভাবে তালবাহানা শুরু করে।এক পর্যায়ে ধর্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান ভয়ভীতি দেখিয়ে যুবতীর কাছ থেকে অলিখিত একটি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। শেয়ার G$R নিউজের নিচে অন্যান্য বিষয়: