‍প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়ম, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৬, ২০২২

গাজীপুর,১৬ মার্চ ২০২২ খ্রিস্টাব্দ । মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে তৈরীর পর জানাজানি হলে ভেঙ্গে ফেলার পর আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এসময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব খন্দকার মোঃ মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন কুমার সরকার মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় পৌছান। ওই স্থানে নিমার্নাধীন ৬০টি ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে ওই স্থানে নতুন করে ঘর নির্মাণ শুরু হয়। পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী নতুন ঘরের কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন,গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরীতে অনিয়ম এবং তা ভেঙ্গে ফেলার সংবাদ (কালের কন্ঠে) পত্রিকায় প্রকাশ হলে বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের নজরে আসে। তারপর তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। বাস্তবতা দেখতে ঘটনাস্থলে এসে তিনি অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন,মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘর তৈরীতে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। এর সাথে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ জড়িত। এ ধরনের অনিয়মে যাদের নাম আসবে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ভেঙ্গে ফেলা ঘর গুলো নতুন করে তৈরী করা হচ্ছে। এগুলোর মান অনেক ভাল বলে প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে গাজীপুরে সদর উপজেলায় ১৬০টি ঘর নির্মাণ শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্তাবধানে শুরু হওয়া কাজে শুরুতেই নিন্মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ৮-৯ দিন আগে ভেঙ্গে ফেলা হয় সব ঘর। এ নিয়ে গত ১০ মার্চ একটি দৈনিক পত্রিকা (দৈনিক কালের কন্ঠে)’র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গাজীপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন সরদার ও গাজীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বারেক মিয়া। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Loading